নয়াদিল্লি: করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ভারত৷ আর এই লড়াইয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের দেশের ‘মেডিক্যাল কমিউনিটি এবং করোনা যোদ্ধারা’৷ সোমবার সকালে একটি ভিডিও কনফারেন্সে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাস অদৃশ্য শত্রুর মতো আমাদের উপর আক্রমণ করছে, কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী এবং করোনা যোদ্ধারাও অপারজেয়৷’’ সেইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি করোনার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই চালানো যোদ্ধাদের উপর হামলা বা খারাপ আচরণের ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না৷
এদিন বেঙ্গালুরুর রাজীব গান্ধী ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। করোনা পরিস্থিতি সামলাতে দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা কী ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন এদিন তা তুলে ধরেন তিনি। করোনা মোকাবিলায় কর্নাটক সরকার যে পদক্ষেপ করেছে তারও প্রশংসা করেছেন তিনি।
এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ভারতের সাহসী লড়াইয়ের পিছনে রয়েছেন আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী এবং করোনা যোদ্ধারা৷ আসলে, চিকিৎসক এবং সকল স্বাস্থ্যকর্মী এক একজন সৈনিক৷ শুধুমাত্র সেনার ঊর্দিটা নেই৷’’ নমো বলেন, ‘‘আমি একটা কথা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, যাঁরা সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন, তাঁদের উপর কোনও রকম হিংসা, দুর্ব্যবহার বা হেনস্থার মতো ঘটনা সহ্য করা হবে না৷ কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ’’
করোনা সংক্রমণ রুখতে গত দুই মাসের বেশি সময় লকডাউন ছিল গোটা দেশ৷ ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে পঞ্চম দফার লকডাউন৷ এরই সঙ্গে শুরু হয়েছে আনলক পর্ব৷ নমো বলেন, ধীরে ধীরে অর্থনীতি সক্রিয় হচ্ছে৷ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দেশ৷ এই সময় আমাদের আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে৷ তিনি বলেন, “অদৃশ্য শত্রু বনাম অপরাজেয়দের লড়াই শুরু হয়েছে৷ এই যুদ্ধে, নিশ্চিতভাবে জয়ী হবেন আমাদের স্বাস্থ্য কর্মী ও করোনা যোদ্ধারা৷’’ এদিকে করোনা সংক্রমণের নিরেখে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবিত ১০টি দেশের মধ্যে ৭ নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। প্রতি দিনই সংক্রমণে নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ৯০ হাজার ৫৩৫। আক্রান্তের দিক থেকে জার্মানি এবং ফ্রান্সকেও টপকে গিয়েছে। ভারতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫,৩০০ জনের৷