দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, মন্তব্য রাহুলের

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, মন্তব্য রাহুলের

e3fa7bed4d163bd5b2a6747238973d19

নয়াদিল্লি: ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণ দিনকে দিন বেড়ে চললেও ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। এই মুহূর্তে রাত ১২টা থেকে ভোর পাঁচটা অবধি থাকছে কার্ফু। কন্টেনমেন্ট জোন বাদ দিয়ে বাকি জায়গা স্বাভাবিক চেহারা নিয়ে নিয়েছে প্রায়। যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঘাটতি থাকলেও হাটবাজার, দোকানপাট আগের মতোই খুলতে শুরু করেছে এবং সেখানে মানুষের ভিড়ও হচ্ছে যথেচ্ছ পরিমাণে। এই নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিঁধতে ছাড়লেন না না কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর মন্তব্য, ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে সংক্রমণের হার বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুলে নেওয়া হচ্ছে লকডাউন।

বাজাজ অটো সংস্থার কর্ণধার রাজীব বাজাজের সঙ্গে আলোচনায় করোনা ভাইরাস এবং অর্থনীতির ওপর তার প্রভাব নিয়ে আলাপচারিতায় নানান মন্তব্য করেছেন রাহুল। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও এমন লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাঁর কথায়, ‘এটা যেন পরাবাস্তব বিষয়। আমার মনে হয় কেউ হাবতেও পারেনি গোটা বিশ্ব এমনভাবে লকডাউন হয়ে যাবে। আমার মনে হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও এমন পরিস্থিতি হয়নি। এটা সত্যিই অনন্য এবং ধ্বংসকারী ঘটনা।’ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি এ প্রসঙ্গেই কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেছেন এবং জানিয়েছেন ভারতে লকডাউন আদতে ব্যর্থ হয়েছে।

গরিব এবং পরিযায়ীদের জন্য এই ঘটনা সবথেকে কষ্টদায়ক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে রাহুলের মত। তিনি জানান, অর্থনীতি বেহাল দশা ঠিক করতে অংশীদার এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত কেন্দ্রের। তাঁর মতে, সরকারের উচিত ছিল করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধটা রাজ্যগুলিকে আলাদা আলাদা ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু এখন কেন্দ্র সরকার পিছু হটছে এবং এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাঁর কথায়, ‘ভারতের লকডাউন বর্থ্য। ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে সংক্রমণ বাড়ছে, উল্টোদিকে লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন রাহুল। কথা বলেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কেন্দ্রকে কিছু পরামর্শও দিয়েছিলেন অভিজিৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *