স্যানিটাইজারে ‘মদ’ থাকে, মন্দিরে ঢুকতে দেব না, বিদ্রোহে পুরোহিতদের

স্যানিটাইজারে ‘মদ’ থাকে, মন্দিরে ঢুকতে দেব না, বিদ্রোহে পুরোহিতদের

ভোপাল: প্রায় তিনিমাস লকডাউন চলার পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে জনজীবন। অফিস-কাছারির সঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বারগুলো। কিন্তু এই সমস্ত প্রার্থনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্পষ্ট কিছু নির্দেশিকা দিয়ে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। যেমন একসঙ্গে ১০ জনের বেশি ঢোকা যাবে না। প্রত্যেকের মধ্যে দূরত্ব থাকতে হবে কমপক্ষে ছ’ ফুট। মুখাবরণী (মাস্ক) বাধ্যতামূলক এবং সঙ্গে রাখতে হবে অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার। এখানেই বেধেছে গোলমাল। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক পুরোহিত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মন্দিরে স্যানিটাইজার ঢুকতে দেবেন না, কারণ তাতে অ্যালকোহল থাকে। মন্দিরে স্যানিটাইজার মেশিন বসানোর ক্ষেত্রেও আপত্তি আছে তাঁর।

ভোপালের মা বৈষ্ণবধাম নবদুর্গা মন্দিরের পুরোহিত চন্দ্রশেখর তিওয়ারি বলছেন, ‘সরকারের কাজ নির্দেশিকা জারি করা। কিন্তু আমি মন্দিরে স্যানিটাইজার যন্ত্র বসানোর বিরুদ্ধে, কারণ এতে অ্যালকোহল থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন মদ্যপান করে মন্দিরে ঢুকতে পারি না, তাহলে অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজারে হাত ধুয়ে কী করে ঢুকতে পারি?’ অবশ্য তিনি বলেছেন, মন্দিরের বাইরে স্যানিটাইজার মেশিন এবং সাবান দিয়ে হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা করা হলে তাঁর বা মন্দির কর্তৃপক্ষের সমস্যা নেই। তিনি বলেন, ‘এমনিতেই মন্দিরে প্রবেশ করতে হলে সবাই বাড়ি থেকে স্নান করেই আসে।’

মন্দির-মসজিদ খুলে দেওয়া হলেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা এখনও রয়েছে সেখানে। যেমন প্রসাদ বিতরণ করা যাবে না, যাবে না পবিত্র জল ছেটানোও। যন্ত্রের সাহায্যে প্রার্থনা সঙ্গীত চালানো যেতে পারে কিন্তু সমবেত হয়ে ভজন, কীর্তন বা কোনও রকম স্তোত্র পাঠ চলবে না। প্রার্থনা করার জন্য প্রত্যেককে নিজের নিজের আসন আনতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এর সঙ্গেই ছিল উপরোক্ত নিয়মবিধিগুলো। স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ৪০ থেকে ৬০ সেকেন্ড ভাল করে হাত ধোওয়ার নির্দেশিকা অনেক দিন আগে থেকেই দিয়ে রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কিন্তু সেই নির্দেশের পরোয়া করলেন না এই পুরোহিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 3 =