নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্ত উত্তেজনা দমিয়ে দফায় দফায় চলছে কূটনৈতিক বৈঠক৷ ভারত-চিনের ঠান্ডা লড়াইয়ের আবহে নিজের অবস্থান যখন কিছুটা বদল এনেছে দু’দেশ, ঠিক তখন কার্যত চিনের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতে চাপে ফেলার নয়া কৌশল নিল নেপাল৷
সংসদে বিল পাস করিয়ে এবার দেশের ম্যাপ বদল করে ভারতের তিনটি অংশ নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান নেপাল৷ সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করিয়ে নেপালের তরফে দাবি করা হয়েছে, এখন থেকে ভারতের দখলে থাকা লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরা অঞ্চল তাদের৷ খাতায় কলমে নেপালের অংশ করার বিষয়ে নেপাস সংসদে এই মর্মে বিল পাস করানো হয়েছে৷
গত সপ্তাহে ভারতের ৩টি এলাকাকে নিজের অংশ হিসাবে দাবি করতে চেয়ে দেশের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করার বিষয়ে সরকারি ভাবে উদ্যোগ দেয় নেপাল সরকার৷ নতুন মানচিত্রে নেপালের সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিল ইতিমধ্যেই পাস হয়ে গিয়েছে৷ তাতে সর্বসম্মত মিলছে৷ বিলের সমর্থন করেছে প্রধান বিরোধীদল নেপাল কংগ্রেস৷
মঙ্গলার সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করে আলোচনার প্রস্তাব দেন নেপালের আইনমন্ত্রী৷ নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি সর্বদলীয় বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চান বলেও জানান৷ সংসদের দুই কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে প্রস্তাব পাস হয়ে গিয়েছে৷ উচ্চকক্ষে পর্যাপ্ত সংখ্যা থাকলেও নিম্ন কক্ষে শাসক নেপাল কম্যুনিস্ট পার্টির বিরোধীদের সাহায্য লাগবে বিল পাস করাতে৷ প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস এই বিল সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে৷
জানা গিয়েছে, লিম্পিয়াধুরা, কপালপাণি ও লিপুলেখ, এই ৩টি এলাকা নেপাল নিজের বলে দাবি করে বিল পাস করিয়েছে৷ যা এতদিন ভারতের অঙ্গরাজ্য উত্তরাখণ্ডের অংশ হিসাবে চিহ্নিত৷ কিন্তু, কেন এই পদক্ষেপ? সম্প্রতি লিপুলেখ অঞ্চলে ভারত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক নির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে৷ এরপর নেপাল আপত্তি তোলে৷ পাল্টা ভারত প্রতিবাদ জানায়৷ ঐতিহাসিকভাবে ওই এলাকাটি ভারতের অন্তর্গত৷ কিন্তু, মানতে নারাজ নেপাল৷ নেপালের হঠাৎ আপত্তি দেখে ভারত বাড়তি সতর্কতা নিতে শুরু করেছে বলে খবর৷ গোটা ঘটনায় চিনের ইন্ধন থাকতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷