নয়াদিল্লি: লকডাউন জারি থাকাকালীন কর্মীদের পুরো মজুরি দিতে ব্যর্থ বেসরকারি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত নয় বরং সংস্থা ও শ্রমিকরা একে অপরের প্রয়োজন এবং মজুরি প্রদানের বিতর্ক নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা উচিত৷ শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷
এক্ষেত্রে মজুরি প্রদানের বিষয়ে সংস্থাগুলি ও কর্মচারীদের মধ্যে সহজ নিষ্পত্তি করে রাজ্যগুলিকে লেবার কমিশনারের কাছে তার একটি রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে বিচারপতি অশোক ভূষণ, সঞ্জয় কিশান কউল এবং এম আর শাহের একটি বেঞ্চ৷ পাশাপাশি সরকার কর্তৃক ২৯ শে মার্চ সার্কুলারের বৈধতার বিষয়ে কেন্দ্রকে চার সপ্তাহের মধ্যে একটি অতিরিক্ত হলফনামা দাখিল করতে বলেছে শীর্ষ আদালত, যেখানে লকডাউনের সময় ৪৫ দিনের জন্য কর্মীদের পূর্ণ মজুরি প্রদানের জন্য নিয়োগকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মার্চের এই সার্কুলারের বিরোধিতা করে একাধিক বেসরকারী সংস্থার করা আবেদনের ভিত্তিতেই এই পরামর্শ দিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে এই সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি হবে। অন্যদিকে, এদিনের অপর শুনানিতে ডাক্তারদের বেতন কেটে নেওয়ার বিষয়টি নিয়েও কেন্দ্রকে সতর্ক করেছে শীর্ষ আদালত। আদালত জানিয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক্তারদের বেতন কেটে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমনকি এর প্রতিবাদে ডাক্তাররা ধর্মঘটের পরেও হেঁটেছেন। এই বিষয়টি কেন্দ্রকেই গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে এবং এর জন্য আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এছাড়াও, লকডাউন চলাকালীন বিমান বুকিং এর জন্য বিমান সংস্থার টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত চেয়ে আবেদনের শুনানিতে এবিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের কাছে উত্তর চেয়েছে শীর্ষ আদালত। অর্থ ফেরতের ক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং এয়ারলাইন্সগুলিকে একসাথে বসে সম্ভব্য উপায়গুলির জন্য পদ্ধতি নির্ধারণ করতে বলেছে আদালত। যেকোনো রুটে যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের কেন ২ বছরের জ্ন্য ক্রেডিটের অনুমতি দেওয়া হবেনা এনিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।