সংক্রমণের ভয়? করোনা আবহে বাজারে আসছে ভাইরাস রোধক পোশাক

'হাইকিউ ভাইরোব্লক' ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে এবং ভাইরাল সংক্রমণকে ৯৯.৯৯ শতাংশ হ্রাস করে। এই পদ্ধতি করোনার কারন সার্স-কোভ -২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকারী হিসেবে বিশ্বের বিশ্বের সেরা পোশাক প্রস্তুতকারী প্রযুক্তিগুলির মধ্যে সেরা।

নয়াদিল্লি: করোনার মতো মারণ ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের স্বভাবিক জীবনে ফেরার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এই মূহুর্তে এমন ভবিষ্যৎ বাণী শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। লড়াইয়ের একমাত্র হাতিয়ার সতর্কতা। এক্ষেত্রে প্রতিদিন জীবিকা নির্বাহ বা অন্যান্য প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্যতামূলকভাবে বাইরে বেরোতে হচ্ছে তাদের তাদের জন্য এই সতর্কতা অবলম্বন ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের পোশাক আশাকের সঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে মাস্ক এবং হ্যান্ড গ্লাভস।

তাতেও আতঙ্ক কাটছে কোথায়? কারণ গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে, কাপড়ের উপর করোনা ভাইরাসের কণা প্রায় দু'দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। তাহলে রাস্তাঘাটে এই ভাইরাস এড়িয়ে চলার উপায় কি? এনিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে হাসপাতালের ভিতরে যেমন স্বাস্থ্যকর্মীরা পিপিই ব্যবহার করেন তেমনই এই পিপিই-র ব্যবহার শুরু হয়েছে বহু কাজের জায়গায়। কিন্তু এই পোশাক পড়ে রাস্তায় চলাফেরা এককথায় অসম্ভব। তাই এবার সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের বাইরে বেরোনোর পোশাককেও ভাইরাস-রোধক হিসেবে তৈরী করা হবে। আর এমনই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতেরই এক পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা। বলা যায় ভারতের বাজারে ভাইরাস-রোধক পোশাক আর কিছুদিনের অপেক্ষা।    

অভিনব পরিকল্পনার এই বিশেষ ধরণের পোশাক তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারী ও বিপননকারী আহমেদাবাদ ভিত্তিক সংস্থা অরবিন্দ লিমিটেড। পোশাকের ব্র্যান্ড ‘ইন্টেলিফ্যাব্রিক্স’। সম্প্রতি তাইওয়ানের জিনটেক্স কর্পোরেশন এবং সুইস টেক্সটাইল সংস্থা হাইকিউ মেটেরিয়ালস এজি-র সঙ্গে এই পোশাক তৈরীর জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অরবিন্দ লিমিটেড।

সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কুলিন লালভাই বিজনেস টুডে-কে জানিয়েছেন “আমরা এই অংশীদারিত্ব নিয়ে উচ্ছ্বসিত এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ভারতীয় বাজারের এই কাপড়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষাকবচ হিসেবে সর্বোত্তম এবং একই সাথে ফ্যাশনেবল।” সংস্থাটির মতে, 'হাইকিউ ভাইরোব্লক' ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে এবং ভাইরাল সংক্রমণকে ৯৯.৯৯ শতাংশ হ্রাস করে। এই পদ্ধতি করোনার কারন সার্স-কোভ -২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকারী হিসেবে বিশ্বের বিশ্বের সেরা পোশাক প্রস্তুতকারী প্রযুক্তিগুলির মধ্যে সেরা। এই বিশেষ প্রযুক্তি মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই ৯৯ শতাংশ ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। 

তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরী পোশাক শুধু আরামদায়ক হবে তাই নয়, ঘরোয়া ভাবে কমপক্ষে ৩০ বার ধোওয়া হলেও এর ভাইপার রোধক ক্ষমতা সক্রিয় থাকবে। ভাইরোব্লক ফ্যাব্রিকের তৈরি এক একটি শার্টের দাম পড়বে ৬০০ থেকে ১,০০০ টাকা। মা একটু দামি পোশাক হিসেবে আমজনতার নাগালের মধ্যেই বলে মনে করেন তিনি। খুব অল্প সময়ে ভারতের বাজারে এই বিশেষ ধরণের পোশাকের চাহিদাও চোখে পড়ার মতো বলেও জানিয়েছেন লালভাই। দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে  বাধ্যতামূলকভাবে বাইরে বের হচ্ছেন যারা,  ভাইরাস-রোধক এই বিশেষ পোশাক তাঁদের একাংশের জন্য যে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর তা বলাই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 14 =