বিশ্বাসঘাতকের আরেক নাম চিন! করোনা থেকে নজর ঘোরাতে ‘যুদ্ধ’ কৌশল?

বিশ্বাসঘাতকের আরেক নাম চিন! করোনা থেকে নজর ঘোরাতে ‘যুদ্ধ’ কৌশল?

de53711fe8f069cc95c6526c7104ec6c

নয়াদিল্লি:  বিশ্বাসঘাতক শব্দটার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মিরজাফরের নাম। কোনও সন্দেহ নেই, আধুনিক সময়ের প্রেক্ষাপটে এই তকমা পেতে পারে চিন। বার বার চুক্তিভঙ্গ করে সীমান্তে হিংসার উদ্রেক করেছে তারা। কূটনৈতিক এবং কম্যান্ডার পর্যায়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ভারত এবং চিন, দুই পক্ষের সেনাই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসবে। কাজ চলছিল সেই মতোই। কিন্তু চুক্তি লঙ্ঘন করে গালোয়ান উপত্যকার লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের (এলএসি) কাছে লোহার রড, ধাতব কাঁটাওয়ালা লাঠি নিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের ওপর চড়াও হয় চিনের সেনা। এই সংঘর্ষে এক কর্নেল এবং ১৯ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, চিনের সেনারও কমপক্ষে ৪৩ জন হতাহত।

১৯৬২ সালেও একইরকম বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল চিন। 'হিন্দি-চিনি ভাই ভাই' স্লোগান ওঠার অনতিবিলম্বেই অতর্কিত আক্রমণ করে চিনা সেনা। সেই যুদ্ধে প্রচুর ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। সুতরাং চিনকে আর বিশ্বাস করা চলে না। কূটনৈতিক পর্যায়ে যে আলোচনাই হোক না কেন, যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে ভারতীয় সেনাকে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু কেন এমন করছে চিন? উদ্দেশ্য কী তাদের?

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, মূল বিষয় থেকে দুনিয়ার নজর সরাতে ভারতকে ব্যতিবস্ত করছে বেজিং। এতে আর কোনও সন্দেহ নেই যে করোনা ভাইরাস উদ্ভুত হয়েছে চিন থেকেই, এবং সেখান থেকে সারা বিশ্বে সংক্রামিত হয়েছে। সবথেকে দুর্ভাগ্যের বিষয় এই ভাইরাসটি সম্পর্কে সমস্ত কিছু তথ্য প্রথমে গোপন করেছিল তারা।

এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে। ঠিক সময়ে চিন যদি বাকি বিশ্বকে সতর্ক করত তাহলে প্রাণ বাঁচত লক্ষ লক্ষ মানুষের। এই বিষয়টা নিয়েই চিনের ওপর অসন্তুষ্ট আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইটালির মতো দেশ। এরা একজোট হলে বিপদে পড়বে চিন। তাই সবার নজর কোভিড-১৯ থেকে সরাতে ভারতের ওপর এই অতর্কিত আক্রমণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তবে যে কারণেই হোক, ভারতকে তৈরি থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *