এবার চিনা খাবার বয়কটের ডাক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, চাইনিজ ফুডের আপত্তি!

এবার চিনা খাবার বয়কটের ডাক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, চাইনিজ ফুডের আপত্তি!

d236fb87791c8d5b6cca867c14ec8ca5

নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা যত বাড়ছে। চিন বিদ্বেষ তত বেড়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই চিনের দ্রব্য বর্জন করার কথা উঠতে শুরু করেছে। তবে  একটু ওপরে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিনের খাবার,ভারতে চিন খাবারের রেস্তোরাঁ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন। কেন্দ্রের সামাজিক ন্যায় ও সশক্তিকরণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় চিনা দ্রব্য পোড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সেনাদের মৃত্যুর পর চিনা দ্রব্য বর্জনের ডাক আরও জোরালো হতে শুরু করেছে।  কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রামদাস টুইটে বলেছিলেন, “চিন বিশ্বাসঘাতক দেশ। ভারতে চিনের সব সামগ্রী বয়কট করা চাই। দেশের সব চাইনিজ ফুডের দোকানও বন্ধ করা দরকার।” এবার তিনি বললেন, দেশের মানুষেরও উচিত যে কোনও রকম চিনা খাবার বয়কট করা।

সোমবার রাত থেকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি্ হয়েছে। তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর থেকে প্রথমবার চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর কথা বলার আগেই নের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও সংঘর্ষের পরিস্থিতির জন্য ভারতকেই দায়ী করেছেন। বুধবার এক বিবৃতিতে ঝাও বলেছেন, ‘ঠিক ভুল তা পরিষ্কার। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা চিনের দিকে রয়েছে। তার জন্য চিনকে কোনওভাবে দোষারোপ করা যায় না। চিন ও ভারত দুই জনেই কূটনীতিক স্তরে আলোচনা করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’ চিনের তরফে সোমবার ও মঙ্গলবারের ঘটনায় তাদের সেনা নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ করেছে। তবে ঠিক কতজন সেনা নিহত বা আহত হয়েছেন সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

গত এক মাস ধপে চিন সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। কয়েক দশক পরে চিনা সেনাদের জন্য পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারতীয়ে সেনাদের রক্ত ঝরেছে। সোমবার রাতেই লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত-চিন সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। মঙ্গবার সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানা যায়, ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন। বুধবার সকালে জানা গিয়েছে, চার ভারতীয় সেনাগুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে  জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে সীমান্ত লাগোয়া হিমাচল প্রদেশে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

সীমান্ত লাগোয়া হিমাচল প্রদেশে চিন হামলা করতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশ জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদেরও সতর্ক করা হয়েছে। হিমাচলের লাহোল, স্পিতি ও কিন্নরের গ্রামবাসীদের সুরক্ষা দিতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। লাহোল, স্পিতি ও কিন্নোরের সীমান্তে রয়েছে চিন। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *