রবিবার সূর্যগ্রহণের প্রভাবে কমতে পারে করোনার প্রকোপ, দাবি পরমানুর বিজ্ঞানীর

রবিবার সূর্যগ্রহণের প্রভাবে কমতে পারে করোনার প্রকোপ, দাবি পরমানুর বিজ্ঞানীর

নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রামণের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিতে এই ভাইরাসের ভবিষ্যৎ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও দিশা দেখাতে পারেননি বিশ্বের তাবড় তাবড় গবেষকরা। গবেষণালব্ধ তত্ত্ব অনুসারে কেউ বলছেন দু’বছর, আবার কেউ বলছেন দশ বছর পর্যন্ত পিছু ছাড়ার লক্ষণ নেই এই ভাইরাসের। সেখানে অবশ্য একাংশের বক্তব্য পরিষ্কার, এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করেই স্বভাভাবিক জীবন যাপনের অভ্যাস করে নিতে হবে বিশ্ববাসীকে। কিন্তু করোনা ভাইরাস নিয়ে সমস্ত নেতিবাচক চিন্তা ভাবনার মধ্যে এইমুহূর্তে এক পরমানু বিজ্ঞানীর চাঞ্চল্যকর ভবিষ্যৎ বাণী  রীতিমতো সাড়া ফেলেছে৷

বছরের সবথেকে বড় দিন অর্থাৎ আগামী ২১জুন যে বিরল মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে তার সঙ্গেই রয়েছে করোনা নিধনের যোগসূত্র! ওই দিন বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ, যা পৃথিবীর একাধিক দেশের পাশাপাশি ভারতের কয়েকটি রাজ্য থেকেও দেখা যাবে৷ এই ২১ জুন থেকেই বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ কমাতে শুরু করবে বলেই দাবি করেছেন ভারতের পরমানু ও পৃথিবী বিজ্ঞানী ডঃ কেএল সুন্দর কৃষ্ণা৷ শুধু তাই নয় ২০১৯ এর ২৬ ডিসেম্বরের সূর্যগ্রহণের সঙ্গেও করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির যোগসুত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি৷

এ প্রসঙ্গে এএনআইকে দেওয়া তাঁর ব্যাখ্যা অনুসারে, ওইদিন সূর্যগ্রহণের ফলে সৌরমঁণ্ডলে নতুন ধরণের শ্রেণিবিন্যাস থেকে গ্রহের বহহিরাবয়বে প্রভাব পড়েছে। সূর্য গ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তড়িদাহত কণাগুলির মধ্যে বড় রাসায়নিক বদল হয়। সূর্য গ্রহণের সময় তৈরি হওয়া বায়ো নিউক্লিয়ার ইন্টারঅ্যাকশন বিভিন্ন ভাইরাস সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এই বায়ো নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশন এর ফলে নিউট্রনের বদল শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ভাইরাসের নিউক্লিয়াস তৈরি হয়। এভাবেই আন্তঃ-গ্রহীয় বলের রূপান্তরের কারণে করোনা ভাইরাসটি পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডল বা রাসায়নিক স্তর থেকে সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে চীনের গবেষকদের দাবি অনুযায়ী  ভাইরাসটি মানবসৃষ্ট নয়, সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক। সূর্য থেকে  নির্গত বিভাজন শক্তির কারণে প্রথম নিউট্রনের পরিবর্তিত কণা মিথস্ক্রিয়ার পরে করোনভাইরাসটি ভেঙে যায়৷

তিনি আরও বলেন, যেভাবে এই ভাইরাস সৃষ্টি হয়েছে সেই একই প্রক্রিয়ায় এর বিনাশ হবে। সেদিক থেকে আগামী ২১ জুন সূর্যগ্রহণের সময়ও একই ধরণের প্রক্রিয়া হবে ফলে সেই পরিবর্তনের ফলেই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ায় প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ পাশাপাশি এই প্রক্রিয়া নিয়ে অযথা উদ্বেগের কারণ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর মতে গ্রহীয় রূপান্তর একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। সূর্যের আলো এবং সূর্যগ্রহণই হবে করোনা ভাইরাস নিযরাময়ের প্রাকৃতিক পদ্ধতি৷

আরও বিস্তারিত পড়ুন- https://www.timesnownews.com/india/article/chennai-based-scientist-claims-connection-between-covid-19-outbreak-and-solar-eclipse-on-december/606453 এই লিঙ্কে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − four =