লেহ: সোমবার সামরিক স্তরে বৈঠকে বসে চিন ও ভারত। সেই বৈঠকেই বেজিং জানায়, লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে চিনা সেনা কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সেনার সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষে ভারতের এক সেনা আধিকারিক-সহ ২০ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৭৬ সেনা আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বেজিং আগে ঠিক কত জন চিনের সেনা হতাহত হয়েছেন, তা জানায়নি। তবে নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছিল, ৪৩ জন চিনা হতাহত হয়েছেন।
উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন লে’র কর্পস কম্যান্ডার হরিন্দর সিং এবং মেজর জেনারেল লিন লিন। সকাল ১১টা বেজে ৩০ মিনিটে এই আলোচনা মলডোতে শুরু হয়েছে। চিনের দিকে লাইন অফ কন্ট্রোলের চশূলে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিনের সঙ্গে ভারতের এটি দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈঠক হচ্ছে। আগে প্রথম পর্যায়ে বৈঠক ৬ জুন হয়েছিল। চিন সীমান্তের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে মালদোর বর্ডার মিটিং পয়েন্টে হয় বৈঠক।
সেই বৈঠকে উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে ভারতের তরফে চিনা সেনাদের ফিরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। অন্য দিকে চিনের তরফে ভারতকে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে গত সোমবার অতর্কিতে চিনা সেনা হামলা করে। সোমবার বৈঠকে নিজেদের পক্ষে যুক্তি সাজাতে গিয়েই চিন নিজেদের কমান্ডারের মৃত্যুর খবর জানায়। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, লাদাখে স্থিতাবস্থা ও শান্তি বজায় রাখার জন্য সামরিক স্তরের আলোচনায় সওয়াল করেছে নয়াদিল্লি। সেই সঙ্গে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় ঐতিহাসিক ভাবে অধিকার রয়েছে। তা বরাবরই ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে ছিল। এ ব্যাপারে কোনও আপস করা হবে না।