নয়াদিল্লি: সীমান্তে ক্রমেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে দুই দেশ৷ এই উত্তেজনার আবহেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আজ লাদাখ যাচ্ছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে৷
সেখানে তিনি কথা বলবেন লেহ এবং লাদাখের দায়িত্বে থাকা সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে। গালওয়ান সীমান্তের সংঘর্ষে আহত সেনা জওয়ানদের সঙ্গেও দেখা করবেন জেনারেল নারাভানে। গত ১৫ মে লাদাখ সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ ভারতীয় জওয়ান৷ জখম হন আরও ৭৬ জন সেনা৷ এই সংঘর্ষে চিনা সেনার মৃত্যু হলেও, এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি বেজিং৷
গত মে মাসে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার লাদাখ যাচ্ছেন সেনাপ্রধান নারাভানে৷ বুধবার এখান থেকে কাশ্মীর যেতে পারেন তিনি৷ সোমবার দুই দেশের কম্যান্ডারদের মধ্যে টানা প্রায় ১১ ঘণ্টা ম্যারাথন বৈঠকেও কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি৷ এর ঠিক পরের দিনই লে রওনা হচ্ছেন সেনাপ্রধান৷
অন্যদিকে, লাদাখ সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি৷ গোটা এলাকার উপর নজর রাখছে ড্রোন৷ ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বাড়ানো হচ্ছে সেনাশক্তি৷ সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পরমজিৎ সিং এবং ডিরেক্টর জেনারেল (আইটিবিপি এবং বিএসএফ) এসএস দেওলের লে সফরের পরই সীমান্তে সেনা শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ চিনা ফৌজ যাতে ওয়েস্টার্ন, মিডল বা ইস্টার্ন সেক্টরে ঢুকতে না পারে সে জন্য দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গেরিলা যুদ্ধে দক্ষ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে৷
এলএসি-তে চিনা গতিবিধির উপর নজর রাখতে ইতিমধ্যেই কমব্যাট ফাইটার জেটের টহল শুরু হয়েছে। এবার চিনা ফৌজের প্রস্তুতি দেখতে ইজরায়েলি সশস্ত্র ড্রোন হেরন টিপি ওড়ানো হয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর৷ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ইজরায়েলের কাছ থেকে দশটি সর্বাধুনিক হেরন টিপি ড্রোন কেনে ভারত। চিন, পাকিস্তান-সহ ৭০টি দেশের হাতে রয়েছে এমন ড্রোন।
আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল’ (ইউএভি) হেরন টিপি ড্রোনের প্রতিটি অস্ত্রবহনে সক্ষম৷ দূরপাল্লার এই ড্রোন দিয়ে শত্রু ঘাঁটিকে অনায়াসেই টার্গেট করা যায়। হেরন টিপি ড্রোনের নির্মাতা সংস্থা ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০০৫ সাল থেকেই ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রয়েছে এই সশস্ত্র ড্রোন। হাজার কিলোগ্রামের বেশি ওজন বহনে সক্ষম এই ড্রোন। এতে রয়েছে ইলেকট্রো-অপটিক্যাল টার্গেট সিস্টেম। ফলে রাতের বেলাতেও কাজ করতে পারে এটি৷