কলকাতা: কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন, এবং তা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করে তোলারও চেষ্টা চলছে এ রাজ্যে। লকডাউনের প্রথম পর্যায়েগুলিতে সবথেকে ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছেন মদ্যপায়ীরা। কারণ, মদ অবশ্যই অত্যাবশক ভোগ্যপণ্যের মধ্যে পড়ে না। এর ফলে মদ্যপায়ীদের যেমন মাথায় হাত পড়েছিল তেমনই সরকারের রাজস্বে পড়েছিল টান। বাধ্য হয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে মদের দোকান। কিন্তু সেখানে পড়ে লম্বা লাইন, সংক্রামিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। এই সব কথা মাথায় রেখেই অনলাইন পণ্য ডেলিভারি সংস্থা অ্যামাজনকে বাড়ি বাড়ি মদ পৌঁছে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হল এ রাজ্যে।
বহুজাতিক এই সংস্থাকে অ্যালকোহল-জাত পানীয় সরবরাহ করার অনুমোদন দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজেস কর্প। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, এই অনুমোদন শুধুমাত্র অ্যামাজনই পায়নি, বিগবাস্কেট নামক আর একটি সংস্থাও এবার থেকে মদ পৌঁছতে পারবে। অবশ্য দেশের কিছু কিছু শহরে খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা সুইগি এবং জোম্যাটো আগে থেকেই এই কাজ করা শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু অ্যামাজনের মতো বড় সংস্থা এই অনুমোদন পাওয়া নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই অনুমোদনে প্রায় ২৭ বিলিয়নের মতো বাজারে পা জমাতে চলেছে তারা বলে জানিয়েছে আইডব্লুএসআর ড্রিঙ্কস মার্কেটের সমীক্ষা।
স্বাভাবিক ভাবেই দোকানের থেকে বেশ কিছুটা বেশি দামে এবার থেকে ঘরে বসেই পছন্দের পানীয়টি হাতে পেয়ে যাবেন মদ্যপ্রেমীরা। তাতে লাইনে দাঁড়ানোর ঝক্কি যেমন এড়ানো যাবে, তেমনই করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কাও নূন্যতম হয়ে পড়বে। বিয়ার থেকে শুরু করে রাম, হুইস্কি, ভদকা, ওয়াইন, শ্যাম্পেন সবই পাওয়া যাবে এবার থেকে বাড়ি বসে। অতএব, বাংলায় স্কুল খুলুক আর না খুলুক, রাজস্ব আয়ের কোনও খামতি রাখছে না আবগারি দফতর।