কাজ না করলে খাব কী? পেটের জ্বালায় ফের কাজে ফিরছেন পরিযায়ীর

কাজ না করলে খাব কী? পেটের জ্বালায় ফের কাজে ফিরছেন পরিযায়ীর

78a2b8591531aac1a8d302638d4bdfd8

লখনউ: পেটের জ্বালা, সমস্ত আতঙ্ককে ভুলিয়ে দিতে যথেষ্ট৷ পেটের জ্বালা মানুষকে দিয়ে সমস্ত কাজ করাতে পরাতে। আর সেই কথাই করোনা আবহে বলে যাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন। হঠাত করে লকডাউনের জেরে বিপাকে পড়েছিলেন তাঁরা। এক রাতের মধ্যে তাঁদের চাকরি চলে গিয়েছিল। বাড়ি ভাড়া দেওয়ার টাকা পর্যন্ত তাঁদের কাছে নেই। পরিবার নিয়ে ছোট শিশু নিয়ে কখনও গাড়ি ভাড়া করে কখনও আবার পায়ে হেঁটেই ঘরে ফিরেছিলেন। ঘরে ফিরতে গিয়ে অনেকের রাস্তাতেই মৃত্যু হয়েছে। পেটের টানে সেই পরিযায়ী শ্রমিকরা আবার কর্মক্ষেত্রে যেতে শুরু করেছেন।

বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের স্টেশনগুলো ফের পরিযায়ী শ্রমিকে ভরে গিয়েছে। তাঁদের মুখে একটাই কথা, এত কষ্ট করে বাড়িতে ফিরে এসে কোনও লাভ হল না। খাবার নেই, টাকা নেই একটা অসহনীয় অবস্থা। এর থেকে ভালো কর্মক্ষেত্রে চলে যাওয়া। করোনা আতঙ্ক নিয়ে হয়তো বাঁচা যায়। কিন্তু খিদে নিয়ে, পেটে জ্বালা নিয়ে বাঁচা যায়।

লখনউ স্টেশনে এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়। খুরশিদ আনসারি গোরক্ষপুরের বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি স্পেশাল ট্রেনে কষ্ট করে গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে কোনও লাভ হল না। বাড়িতে পাঁচ সদস্যের খাবার জোগার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে কাপড়ের কারখানায় তিনি কাজ করেন। কারখানা খোলার খবর পেতেই তিনি রওনা দিয়েছেন।

অন্য দিকে, দিবাকর প্রসাদ কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। অফিস খোলার ওপর পাওয়ার পরেই তিনি রওনা দিয়েছেন। তবে এবার তাঁরা কেউই পরিবাপ নিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। পরিবার বাড়িতে সুরক্ষিত থাক। তাঁরা ছুটলেন কাজের সন্ধানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *