নয়াদিল্লি: লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলতে চলেছে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল৷ খুলছে দিল্লির লালকেল্লার দরজাও৷ আগামী ৬ জুলাই, সোমবার থেকেই ফের তাজমহল-লালকেল্লায় ভিড় জমবে দর্শকদের৷ তবে অবশ্যই মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশেজুড়ে লকডাউন ঘোষণার আগেই করোনা প্যান্ডেমিকের জেরে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের হাতে থাকা ৩,৪০০টি স্মৃতিসৌধ৷ এর মধ্যে গত জুন মাসে আনলক ওয়ান পর্বে খুলে দেওয়া হয়েছে ৮২০টি সৌধ ও ধর্মীয় স্থান৷ তবে সমস্ত সৌধ খোলার অনুমতি দেয়নি পুরাতত্ত্ব বিভাগ৷ বাকি সৌধগুলিও এবার খুলে দেওয়া হবে৷ তবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে রাজ্যগুলিরও৷
তাজমহল ও লালকেল্লা খোলার বিষয়টি টুইট করে জানান কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল৷ সাঁচি (মধ্যপ্রদেশ), পুরানা কেল্লা (দিল্লি), খাজুরাহ-র ছবি দিয়ে তিনি টুইট করে বলেন, ‘‘আমি মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ৬ জুলাই থেকে সতর্কতা মেনে এই সকল সৌধ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’
গত মাসে খুলে দেওয়া হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা তিরুপতি বালাজির মতো বিখ্যাত ধর্মীয় স্থান৷ সামাজিক দূরত্ব মানার সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরের কর্মীদের জন্য পিপিই পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, খোলার পর এই সৌধগুলিতেও কীভাবে পর্যটকরা যাবেন, পর্যটনের সময়, কী কী নিয়ম মানতে হবে সেই বিষয়গুলি ঠিক করবে রাজ্য এবং জেলা প্রশাসন৷ প্রতিটি জায়গাতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে।
গত ৩০ জুন দেশে শুরু হয়েছে আনলক-টু৷ কনটেনমেন্ট জোন বাদে বাকি জায়গাগুলিতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন৷ তবে এখনও বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল, মেট্রো পরিষেবা, সুইমিং পুল, বার এবং অ্যাসেমব্লি হল৷ তবে নাইট কার্ফু অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে৷ এলাকার ভিত্তিতে দোকানগুলিতে একসঙ্গে পাঁচ জন থাকার ছাড় দেওয়া হয়েছে৷