চিনা ফৌজ পিছু হঠতেই লাদাখে শুরু সড়ক নির্মাণ, বরাদ্দ ২০ হাজার কোটি

চিনা ফৌজ পিছু হঠতেই লাদাখে শুরু সড়ক নির্মাণ, বরাদ্দ ২০ হাজার কোটি

0f6ac6c0b78918810b076ddda0e1be74

নয়াদিল্লি: চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আলোচনার পরই কাটে ভারত-চিন সীমান্ত জট৷ গালওয়ান উপত্যকা থেকে সরতে শুরু করে চিনা ফৌজ৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এই উত্তেজনার মধ্যেই এবার লাদাখে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করার উদ্যোগ নিল নয়াদিল্লি৷ এই প্রকল্পের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে৷ সমস্ত সড়ক প্রকল্পগুলি খতিয়ে দেখার পর দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ 

সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সড়ক নির্মাণের দায়িত্বে থাকা বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও) এর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷ এর পরেই সড়ক নির্মাণের সবুজ সংকেত দেন তিনি৷ সূত্রের খবর, লাদাখে এই সড়ক প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে দুর্বুক-শওক-দৌলত বেগ ওল্ডি ট্র্যাক পুনর্নির্মাণের কাজও৷ সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ৷ জানা গিয়েছে, এই অঞ্চলে সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে চলছে ৩০টি সেতু নির্মাণের কাজ৷ 

গালওয়ান

একইসঙ্গে লেহ, থোইল, কার্গিল এবং ডিবিও-র বিমানঘাঁটিগুলিতেও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেছে বিআরও৷ চলছে হাইওয়ে ও সুড়ঙ্গ সহ ৩০টি স্থায়ী সেতু নির্মাণের কাজ৷ ২০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, ভারত-চিন সীমান্তে সাময়িকভাবে যে বিরোধের নিষ্পত্তি ঘটেছে সেই সময়ের মধ্যেই সড়ক নির্মাণের কাজ সেরে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র৷ এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত ত্বরাণ্বিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ 

3a1455fabe446a589f4e21d84cb9333e

গত দু’মাস ধরে সীমান্তে চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়েছিল ভারত ও চিনা সেনা৷ গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর চড়তে শুরু করে উত্তেজনার পারদ৷ চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আলোচনার পর জট কাটে৷ সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে রাজি হয় চিন৷ দু-দেশের সেনা পিছিয়ে আসলেও, সীমান্তে নজরদারিতে ঢিলে দিতে নারাজ ভারতীয় সেনাবাহিনী৷ নজরদারির সমস্ত ব্যবস্থা রেখেছে ভারতীয় বায়ুসেনা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *