কানপুর: আট পুলিশকর্মী খুনে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে সাহায্য করার অপরাধে গ্রফতার করা হল পুলিশ ইন্সপেক্টর বিনয় তিওয়ারিকে৷ এই ঘটনায় আগেই বরখাস্ত করা হয়েছিল তাঁকে৷
দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে দিকরু গ্রামে কুখ্যাত অপরাধী বিকাশ দুবেকে ধরতে গিয়েছিল একদল পুলিশ৷ সেই সময় বাড়ির ছাদে উঠে তিন দিক থেকে ঘিরে ধরে পুলিশের উপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা৷ এক ডেপুটি পুলিশ সুপার, তিন সাব ইনস্পেক্টর, চার কনস্টেবল-সহ মোট আট জন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়৷ বিনয় তিওয়ারি যে থানার ইনচার্জ ছিলেন, সেই থানা এলাকাতেই পড়ে বিকাশ দুবের গ্রাম৷ এই গ্যাংস্টারের সঙ্গে বিনয় তিওয়ারির যোগ ছিল বলে অভিযোগ৷ এর আগেও বিকাশের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চৌবেপুর থানার স্টেশন অফিসার বিনয় তিওয়ারির বিরুদ্ধে৷
কানপুর পুলিশ প্রধান দীনেশ কুমার পি বলেন, ‘‘একাধিক প্রমাণ হাতে পাওয়ার পরই আজ বিনয় তিওয়ারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেউ যদি পুলিশের উপর আক্রমণ করে, বা ষড়যন্ত্র করে কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে যে যতই সহকর্মী হোক, তাঁর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব৷”
গত শনিবারই সন্দেহ হয়েছিল সর্ষের মধ্যেই রয়েছে ভূত৷ এর পর বিনয়ের এক শাগরেদ অগ্নিহোত্রী ওরফে কাল্লুকে গ্রেফতার করার পর এই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে যায়৷ জেরার মুখে কাল্লু জানায়, অভিযানে বেরোনোর আগেই থানা থেকে ফোন করে সতর্ক করা হয়েছিল বিকাশকে। তার পরেই ২৫-৩০ জনকে জড়ো করে হামলার পরিকল্পনা করে সে৷ চৌবেপুর থানার আরও এক সাব ইন্সপেক্টর কেকে শর্মাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে৷
মঙ্গলবার রাতে হাতের নাগালে এলেও, ফের উত্তরপ্রদেশ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় বিকাশ দুবে৷ বুধবার ভোরে অবশ্য কিছুটা হলেও সাফল্য পায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বিকাশ দুবেকে ধরতে না পারলেও হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরে এদিন তারা কোনঠাসা করে ফেলে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অমর দুবেকে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তার৷