নয়াদিল্লি: মারণ করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রতিষেধকের অপেক্ষায় দিন গুনছে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ৷ হু হু করে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ বাড়ছে মৃত্যু মিছিল৷ এই সংকটময় সময়ে কোভিড-১৯ প্রতিষেধক আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ভারত৷ সমগ্র বিশ্বের চাহিদা পূরণে ভারত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলেও ইন্ডিয়া গ্লোবাল উইক ২০২০-র মঞ্চে দাঁড়িয়ে আশা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়ার পর তার উৎপাদন বাড়িয়ে সারা বিশ্বের চাহিদা পূরণে ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী নমো৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, একবার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে গেলে তার বিকাশ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে ভারতের৷’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে সারা বিশ্বে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষেধকগুলির দুই তৃতীয়াংশ উৎপাদন করে ভারত৷ কোভিড-১৯ প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলি লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এ কাজে নিশ্চিত সাফল্য পাবে তারা৷
তাঁর কথায়, কোভিড পরিস্থিতি আরও একবার আমাদের বুঝিয়ে দিল পরিস্থিতিকেই সুযোগে বদলে ফেলতে হবে৷ ভারতের ফার্মা শিল্প স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে৷ ভারত নিজেদের পরিকাঠামো উন্নয়ন করেছে। ওষুধের ব্যয় কমাতে সাহায্য করেছে৷ এরইমধ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিনের মানবদেহে ক্লিনাকাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানান তিনি৷এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের ফের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এই বিষয়ে ভারত অগ্রণী ভূমিকা নেবে। ভারতে ট্যালেন্টের অভাব নেই৷ আমরা সব সময়ই কাজ করা ও শেখার জন্য মুখিয়ে থাকি। অর্থনৈতিক হোক বা সামাজিক হোক, ভারত পথ দেখিয়েছে। সেই পথেই এগাতে হবে।'
আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘১৩০ কোটি দেশবাসী আত্মনির্ভর ভারতের ডাক দিয়েছে। আমরা গ্লোবাল সাপ্লাই চেনের সঙ্গে মিলে স্থানীয় ভাবে উৎপাদন বাড়াবো। ভারত আত্মনির্ভর ভারতের পথে এগিয়ে চলেছে। তার মানে কিন্তু বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নয়, স্বনির্ভর হওয়া।’’ এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৭.৫ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের৷