এবার WhatsApp-ইমেলে পাঠানো যাবে আইনি নোটিস, মঞ্জুরি আদালতে

এবার WhatsApp-ইমেলে পাঠানো যাবে আইনি নোটিস, মঞ্জুরি আদালতে

28c56d5f266da3e09c4758052042a301

নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর ভিতরে এবার আদালতকে ডিজিটাললাইজড করার ভাবনা সুপ্রিম কোর্টের। ইমেল, ফ্যাক্স কিংবা হোয়াটস অ্যাপের মত ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আদালতের সমন বা নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানাল সুপ্রিম কোর্ট। 

আদালতের তরফে বলা হয়েছে যে এই অতিমারীর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আদালতের নজরে আনা হয় যে এই সময় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে নোটিস বা সমন কিংবা আর্জির পরিষেবা পাওয়া সম্ভব নয়। এইধরণের পরিষেবা ইমেল, ফ্যাক্স কিংবা অন্যান্য ইনস্ট্যান্ট মেসেঞ্জার পরিষেবা যেমন হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য টেলিফোন মেসেঞ্জার সার্ভিসের মাধ্যমে পাওযা যেতে পারে। বিচারপতি এএস বোপান্না এবং আর সুভাষ রেড্ডির বেঞ্চ জানায় দুটো নীল টিক মানেই রিসিভার মেসেজ দেখেছেন বলে ধরে নেওয়া হবে। অতিমারীর সময় হাইকোর্ট এবং ট্রাইব্যুনাল কোর্টগুলিতে আপিল ফাইল করার সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে একটি মামলার শুনানির সময় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

মে মাসেই সুপ্রিম কোর্টে, আদালতের সময়ের বাইরে ই ফাইলিং পরিষেবার মাধ্যমে আইনজীবীদের পিটিশন ফাইলের সুযোগ করে দেওয়া হয়। সেই সময় নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারযোগ্যতা বাড়ানো নিয়ে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিকে মেনে নিতে হবে এবং মানসিকতায় বদল আনতে হবে। পুরনো এবং নতুন দুই নিয়েই সিস্টেম চলবে। অনেকসময় একসঙ্গে অনেক মামলার শুনানি হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন ভবিষ্যতে মামলার নিষ্পত্তির জন্য কৃত্রিম মেধার প্রয়োজন হবে। যদি কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করা হত তবে অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি হতে বিলম্ব হত না বলে বোবদে মনে করেন।

সুপ্রিম কোর্টের যে সমস্ত বিচারপতি দেশজুড়ে করোনার জন্য লকডাউনের ফলে বাড়ি থেকেই ভিডি কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার শুনানি পরিচালনা করছিলেন তাঁরা মে মাস থেকে আদালত কক্ষেই শুনানি শুরু করেছেন। যদিও বাদী ও বিবাদী পক্ষকে আদালতে যেতে হচ্ছে না। তারা ভিডিও কমনফারেন্সের মাধ্যমেই মামলার শুনানিতে থাকতে পারছেন। আইনজীবীরা তাদের চেম্বার থেকে মামলা চালাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতিদের ঐতিহ্য মেনে কালো কোট ও গাউনের বদলে সাধারণ সাদা শার্ট ও নেকব্যান্ড পরতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *