নয়াদিল্লি: কবে মিলবে করোনার প্রতিষেধক? এই নিয়ে জল্পনা অব্যাহত৷ ১৫ অগাস্ট, আসন্ন স্বাধীনতা দিবসের সকালেই কি ঘোষণা করা হবে করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কারের কথা? এই বিষয়ে অবশেষে ধোঁয়াশা কাটালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন৷
এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রতিষেধক তৈরি হতে নিশ্চিতভাবেই সময় লাগব৷ তবে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও দিন, মাস বা বছরের উল্লেখ করা সম্ভব নয়৷’’ তিনি জানান, আইসিএমআর-এর পাশাপাশি সরকারের তরফেও যত শীঘ্র সম্ভব করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চলানো হচ্ছে৷ তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলার সময় কোনও পর্যায়ে কোনও কিছুর সঙ্গে আপোস করা সম্ভব নয়৷ কারণ তা বিপজ্জনক হতে পারে৷ আপাতত দুটি সংস্থাকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ তারা এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া মেনে এগোচ্ছে৷
এদিকে, ভারতে দ্রুত করোনা প্রতিষেধক বিকাশের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান হর্ষবর্ধন৷ প্রয়োজনীয় শর্ত মেনে যাতে সংস্থাগুলিকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়, সে বিষয়ে সুপারিশ করেছে হু৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে আমরা সে পথেই এগিয়েছি৷ তিনি আরও জানান, করোনা বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছে সারা বিশ্ব৷ হু’র দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে প্রায় ২০০টি প্রতিষেধক পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে৷
অন্যদিকে দেশে বেড়ে চলা কোভিড সংক্রমণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য সংক্রমক দেশগুলির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে ভারত সংক্রমণের হার অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে৷ মৃত্যুর হার সর্বনিম্ন৷ দেশে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি। বরং সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৬০ শতাংশ মানুষ। যা অবশ্যই ভালো লক্ষণ৷ প্রথমে তবলিঘি জামাতের ঘটনা এবং পরে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্য থেকে ফেরার পর হু হু করে বেড়ে গিয়েছিল সংক্রমণ৷ তবে লকডাউনের জেরে ভারতে ডবলিং রেট অনেকটাই কম রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ অন্যদিকে, বাড়ানো হয়েছে নমুনা পরীক্ষাও। প্রতিদিনই ২.৭ লক্ষ করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার সরকারি আধিকারিকরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত সংসদীয় প্যানেলকে জানিয়েছিল, আগামী বছরের আগে কোও ভাবেই করোনা প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হবে না৷ কর্মকর্তারা রাজ্যসভার স্ট্যান্ডিং কমিটিকে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ টিকা তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় লেগে যাবে৷