নয়াদিল্লি: পরিযায়ী শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষার স্বার্থে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ পরিযায়ী পরিবারের পড়ুয়াদের সংশ্লিষ্ট স্কুল থেকে নাম কাটা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মন্ত্রক৷ যে সকল শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের হাত ধরে এক শহর থেকে অন্য শহরে পাড়ি দিতে হয়েছে, সেই সকল পড়ুয়াদের নামের একটি নির্দিষ্ট ডেটাবেস তৈরি করার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও তাঁদের পড়াশোনায় যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে কোনও ডকুমেন্ট ছাড়াই পরিযায়ী পড়ুয়াদের স্কুলে ভর্তি নেওয়ার সুপারিশ করেছে মন্ত্রক৷
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গত মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিযায়ীদের দুর্দশারা চিত্র ফুটে উঠেছিল৷ তপ্ত দুপুরে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে ভিন রাজ্য থেকে ঘরে ফিরেছিল সহায় সম্বলহীন পরিযায়ীরা৷ তাঁদের সঙ্গে না ছিল খাবার-দাবার, না ছিল টাকা-পয়সা৷ এক কঠিন সংগ্রামের সম্মুখীন হয়েছিলেন তাঁরা৷ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে ঘরে ফিরেছিল তাঁদের সন্তানরাও৷ এদের মধ্যে বেশিরভাগই পড়াশোনা করত ভিন রাজ্যে৷ এই বিষয়টি নিয়েই চিন্তায় পড়েছে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ পরবর্তী সময়ে তারা কী ভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে, সে বিষয়টি ঠিক করতেই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷
বিষয়টি পর্যালোচনার পর এই সকল পরিযায়ী পড়ুয়াদের উপর একটি ডাটা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক৷ বলা হয়েছে, এই ধরনের শিক্ষার্থীদের ডাটাবেস তৈরি করবে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি৷ ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়া ছাত্রছাত্রীদের নাম যাতে স্কুলের খাতা থেকে বাদ না যায়, মন্ত্রকের তরফে সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ পরিযায়ী শ্রমিকদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা অব্যাহত রাখা সরকারের সামনে একটা বড় ইস্যু৷ যাঁরা এখনও কাজের জায়গায় ফিরতে প্রস্তুত নন, তাঁদের সন্তানরা যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রকের নির্দেশ, উপযুক্ত নথি না থাকলেও পরিযায়ী শিশুদের স্কুলে ভর্তি নিতে হবে৷