নয়াদিল্লি: রিলায়েন্স এজিএম বৈঠকে প্রথমবারের জন্য বক্তব্য রাখলেন নিতা আম্বানি। সারা দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের দৈনন্দিন জীবন থেকে অর্থনীতি করোনার জেরে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিতা আম্বানি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
নীতা আম্বানি বলেছেন, দেশের এই পরিস্থিতি কোরনা মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি ও মুকেশ আম্বানি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাঁদের পক্ষে যা যা সম্ভব করা, তাই করবেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা বর্তমানে প্রধান কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।
ভারতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর রিলায়েন্স শুধুমাত্র করোনা রোগীদের জন্য ১০০ শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে বলে নিতা আম্বানি জানিয়েছেন। এই হাসপাতাল মুম্বইয়ে মাত্র দুই সপ্তাহে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে সেই হাসপাতালে এখন ২৫০টি শয্যা রয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য এই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। এরপর তিনি ভারতের সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা বিরুদ্ধে অক্লান্ত পরিশ্রম করার জন্য শ্রদ্ধা জানান।
করোনা আবহের শুরুতে পিপিই কিটের হাহাকার শুরু হয়েছিল। এরপর পিপিই কিট তৈরি করার চেষ্টা করা হয়। আস্তে আস্তে ভারত সেই সঙ্কট থেকে উঠে এসেছে। এখন প্রতিদিনন এক লক্ষ পিপিই ও এন৯৫ মাস্ক প্রতিদিন তৈরি করা হচ্ছে। এখন পিপিই ও এন৯৫ মাস্ক বিদেশ থেকে আমদানি করার প্রয়োজন হয় না। ভারতে প্রতিদিন উপযুক্ত পরিমাণে পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে। এই ভাবে রিলায়েন্স করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিটি নাগরিকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রিলায়েন্স রিটেলের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা দিনের পর দিন ওভার টাইম করছেন বলে নিতা আম্বানি জানিয়েছেন। যখনই ভারত কোনও বিপদে পড়ে, প্রতিটি ভারতবাসী একসঙ্গে লড়াই করে, সঙ্কটের মোকাবিলা করেছেন। এই বিপদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে মোকাবিলা করে লড়াই করে জয়ী হবে ভারত বলে নিতা আম্বানি মনে করেছেন। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের এদিন নিতা আম্বানি জানান, অভাবীদের জন্য খাদ্য সরবরাহ করছে রিলায়েন্স৷ ‘মিশন অন্ন সেবা’-র মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷