নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের আবহেই শুক্রবার সকালে লেহ পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ সীমান্ত পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই তাঁর এই সফর৷ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে৷
জানা গিয়েছে, লাদাখে অবতরণের পরই স্তাকনার ফরোয়ার্ড অঞ্চলে যাবেন তিনি৷ সেখানে তাঁকে প্যারাড্রপিং স্কিল দেখান সেনা জওয়ানরা৷ এছড়াও দু’দিনের সফরে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে ভারতীয় সেনার অন্যান্য ফরওয়ার্ড পোস্টগুলিতেও যাবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সেনার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি৷ আগামীকাল লাদাখ থেকে শ্রীনগরে পৌঁছবেন রাজনাথ সিং৷
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত-চিন দু’দেশের সেনাই৷ কিন্তু প্যাংগং লেকের চারটি ফিঙ্গার পয়েন্ট থেকে চিন এখনও সেনা প্রত্যাহার না করায় ফের উত্তেজনার পারদ চরতে শুরু করেছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়৷ এমনকী চিন যে ফিঙ্গার এলাকা থেকে সেনা সরাবে না, তা কোর-কমান্ডার স্তরের চতুর্থ বৈঠকে স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর লাদাখ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের মতে, সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে চিনের মনোভাব কী এবং ভারত যে এ বিষয়ে সর্ব্বোচ্চ স্তর থেকে নজরদারি রাখছে, সেই বার্তা দিতেই রাজনাথের এই সফর।
এই মাসের গোড়াতেই লাদাখ সফরে আসার কথা ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রীর৷ কিন্তু সেই সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়৷ বদলে চিনকে কড়া বার্তা দিতে ৩ জুলাই লাদাখ পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তিনি বলেন, সম্প্রসারণের যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে৷ সীমান্ত রক্ষার জন্য যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ভারত৷
এদিকে, কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে কয়েক দফা আলোচনার পর লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণেরখা থেকে কিভাবে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করা হবে সে বিষয়ে আগামী দিনের রোডম্যাপ তৈরি করেছে দুই দেশ। এছাড়াও প্যাংগং লেকের চারটি ফিঙ্গার এলাকায় উত্তেজনা প্রশমিত করতেও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের সেনা আধিকারিকদের৷ সীমান্তের অন্যান্য বিতর্কিত অঞ্চলগুলি থেকে কী ভাবে সেনা ও সামরিক অস্ত্র সরানো হবে সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷