নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনার দাপট৷ চলছে মৃত্যু মিছিল৷ সংক্রমণের হাত থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে প্রতিষেধক তৈরিতে উঠেপড়ে লেগেছে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা৷ এরই মধ্যে ভারতে শুরু হল মানব দেহের উপর করোনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ৷ ভারতের প্রথম করোন প্রতিষেধক Covaxin-এর প্রয়োগ করা হল মানব দেহে৷
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স পাটানায় এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউশন অফ মিডিক্যাল সায়েন্স রোহতকে করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে৷ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভিরোলজি (এনআইভি) এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সহযোগিতায় এই করোনা প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে হায়দরাবাদের ফারমাসিউটিক্যাল সংস্থা ভারত বায়োটেক৷ ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) কাছ থেকে মানব দেহে এই টিকার ফেজ ওয়ান এবং ফেজ টু পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ছাড়পত্র আদায় করে ভারত বায়োটেক৷
সংস্থার দাবি, মানব শরীরে এই টিকার প্রয়োগ করলে সংক্রমণ তৈরির কোনও সম্ভাবনা থাকে না৷ মৃত ভাইরাস হিসাবে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে৷ শুক্রবার তিনজনের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে এই টিকার প্রয়োগ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ। জানা গিয়েছে, হিউম্যান ট্রায়ালের ফেজ ওয়ানে অংশ নেবেন ৩৭৫ জন। তিনটি ভাগে তাদের ভাগ করা হবে। প্রত্যেককে ১৪ দিন পর পর দুটি ডোজ দেওয়া হবে। ফেজ ওয়ান শেষ হলে পরের ফেজের জন্য ৭৫০ জনকে নির্বাচন করা হবে।
এর আগে পশুর শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল এই টিকা৷ পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল মেলার পরই শুরু হয় হিউম্যান ট্রায়াল৷ মানবদেহে এই টিকার ট্রায়ালের জন্য ১২টি ইনস্টিটিউটকে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি ও পাটনার এইমস। গত মঙ্গলবার আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব বলেছিলেন, ‘‘ বিশ্বের কয়েক লক্ষ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত৷ যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববাসীকে বাঁচানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব৷ তাই এই ভ্যাকসিনের ফাস্ট-ট্র্যাকিং খুবই জরুরি৷'’