নয়াদিল্লি: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে করোনভাইরাস এবং লকডাউনের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতির প্রতি ‘আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার’ আর্জি জানিয়েছেন বর্ষীয়ান এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তিনি বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও বিষয়টি অগ্রাধিকার পায়। কিছু মানুষ মনে করতে পারেন মন্দিরটি তৈরি হওয়ার পরে করোনা চলে যাবে৷’’ যদিও ৭৯-বছর বয়সী এনিয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যায় যাননি, তবে সময়ের নিরিখে তাঁর এই বক্তব্য ইঙ্গিত বহন করে৷
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মত, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সূচনার জন্য একটি দিন ঠিক করতে শনিবার বৈঠক করে মন্দির ট্রাস্ট৷ মূল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের সম্ভব্য তারিখটি ৩ বা ৫ আগস্ট হতে পারে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ মন্দির নির্মাণের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে যে পরিকল্পনা বিলম্বিত হয়৷
রাম মন্দির তৈরির প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বলা হলে রবিবার সোলাপুরে সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্যে পাওয়ার বলেন, ‘‘কোন বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত সে সম্পর্কে আমারা সবাই চিন্তাভাবনা করি। যদিও কিছু মানুষ মনে করেন মন্দির প্রতিষ্ঠার পর করোনা চলে যাবে। তাই তাঁরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এখন আপনাদের কাছ থেকেই এসম্পর্কে জানতে পেরেছি৷ তিনি আরও বলেন, আমাদের জন্য, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই এইমুহুর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে, লকডাউন জারি করতে হয়েছিল। অর্থনৈতিক সঙ্কটের বিষয়ে আমরা সবাই জানি। ছোট ব্যবসাযগুলির ওপর এর প্রভাব উদ্বেগজনক। সেই কারণেই আমি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রকে বিশেষভাবে এবিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি … কীভাবে মানুষকে অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে দিল্লিতে আলোচনা হওয়া উচিত।’’
মুম্বই দক্ষিণের শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত পিটিআইকে বলেছেন যে ভগবান রাম তাঁর দলের ক্ষেত্রে বিশ্বাসের বিষয়, এবং বিষয়টি নিয়ে কোনও রাজনীতি হবে না। “শিবসেনা রাম মন্দির আন্দোলনের প্রধান আলো৷’’ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেও উদ্ধব ঠাকরে অযোধ্যা সফর করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও তিনি সেখানে গেছেন বলেও উল্লেখ করেন সাওয়ান্ত।