নয়াদিল্লি: পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত৷ চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতের পর থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কড়া নজর রয়েছে ভারতের৷ আগ্রাসী লাল ফৌজের ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ রুখতে অত্যন্ত সতর্ক ভারতীয় সেনা৷ এলএসি পেরিয়ে চিন সেনার অনুপ্রবেশ রুখতে আগামী দিনে ভারত আরও কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর৷
আগামী বুধবার থেকে তিনদিনব্যাপী এক বৈঠকে বসছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা৷ ওই বৈঠকে দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন তাঁরা৷ জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে রাফায়েল ফাইটার জেট মোতায়েন করার বিষয়টিও এই বৈঠকে খতিয়ে দেখবেন ভারতীয় বায়ুসেনার কমান্ডাররা৷ এই বৈঠকে পৌরহিত্য করবেন এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়া৷ বক্তব্য রাখতে পারেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷
অগাস্টের শুরুতেই ভারত-চিন সীমান্তে ছ’টি রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সেনা সূত্রে খবর৷ প্রসঙ্গত, জুলাইয়ের শেষেই ফ্রান্স থেকে ভারতে আসছে রাফায়েল জেট। ভারতীয় বায়ুসেনার এক সিনিয়ার কমান্ডার জানিয়েছেন, কী ভাবে সীমান্তবর্তী এলাকাকে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তাব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা যায়, কী ভাবে বায়ুসেনার শক্তি আরও বৃদ্ধি করা যায়, সেটাই হবে বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়৷ বায়ুসেনা কমান্ডাররা চাইছেন রাফায়েল কমব্যাট এয়ারক্রাফট এমন অবস্থানে রাখতে যতে দ্রুত যে কোনও পরিস্থিতিতে তা কাজে লাগানো যায়।
এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে রাতের আকাশেও টহল দিচ্ছে ভারতের যুদ্ধবিমান৷ যে কোনও আকস্মিক পরিস্থিতির জন্য ভারত যে প্রস্তুত, তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা৷ গত শুক্রবার সীমান্ত পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে লাদাখ গিয়েছিলেন রাজনাথ সিং৷ সেই সময়ও পূর্ব লাদাখের স্তকনায় সামরিক মহড়া চালায় আইএএফ৷ এই উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের জটিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোকাবিলায় একযোগে ক্ষমতা প্রদর্শন করে স্থলবাহিনী ও বিমানবাহিনী৷
ইতিমধ্যেই লাদাখ সীমান্তে সুখোই ৩০, জাগুয়ার, মেরাজ ২০০০ এর মতো যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে৷ রয়েছে অ্যাপাচি, রুদ্র এবং চিনুক৷ অন্যদিকে, সীমান্তে ৬০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন করেছে দিল্লি। মোতায়েন করা হয়েছে ভীষ্ম ট্যাংক৷ এবার আরও বেশি শক্তি বাড়াতে সীমান্তে রাফায়েল যুদ্ধবিমান মোতায়েনের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে আইএএফ৷