নয়াদিল্লি: ভারতে হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১১.৫ লাখ৷ সম্প্রতি চিকিৎসাধীন রয়েছেন চার লক্ষ করোনা রোগী৷ তবে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ৭.২ লক্ষ মানুষ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের ৭০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে৷
২০ জুলাই পর্যন্ত ১,৪৩,৮১,৩০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)৷ অন্যদিকে এই মুহূর্তে ভারতের দুটি করোনা ভ্যকসিনের মানব দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে৷ এই দুটি ভ্যাকসিন হল, Zydus Cadila ও ভারত বায়োটেকের Covaxine৷ ফেজ ওয়ান এবং ফেজ টু পর্যায়ে রয়েছে এই দুটি ভ্যাকসিন৷ গরিব মানুষদের মধ্যে কী ভাবে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ নীতি আয়োগের সদস্য ড. ভিকে পাল বলেন, ‘‘দেশের মানুষ এবং বিশ্ববাসীর কাছে ভারতের তৈরি এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে কোনও খামতি রাখবে না সরকার৷ প্রতিটি সম্ভাব্য সুযোগ-সুবিধার বিষয় নিশ্চিত করা হবে৷’’
অন্যদিকে, এইমস-এর ডিরেক্টর ড. রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘‘ তথ্য বলছে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে৷ এবং সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হচ্ছে৷ তবে আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, মাস্ক পরতে হবে৷ তা না হলে কোনও ভাবেই করোনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না৷’’
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র, নয়াদিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশ৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওএসডি রাজেশ ভূষণ বলেন, ভারতে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর হার ২.৪৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷ ভারতে প্রতি ১০ লক্ষে মৃত্যুর হার ২০.৪৷ সেখানে সারা বিশ্বে মৃত্যুর হার ৭৭৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, দেশের ১৯টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রতিদিন প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১৪০ জনের কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে৷