ভোপাল: ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন তো অনেকেই দেখেন৷ কিন্তু সেই স্বপ্ন সফল হয় ক’জনের৷ তবে ভাগ্যের ফেরে একেবারে রাতারাতি লাখপতি হয়ে গেলেন মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার এই দরিদ্র শ্রমিক৷
পান্না জেলার রানিপুরা এলাকায় একটি খনিতে শ্রমিকের কাজ করেন আনন্দিলাল কুশওয়া৷ প্রতিদিনের মতো এদিনও কাজে গিয়েছিলেন তিনি৷ তবে দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কালো খনির অন্ধকার থেকেই ঘুরতে চলেছে তাঁর ভাগ্যের চাকা৷ খনি কাটতে কাটতেই তিনি খুঁজে পান ১০.৬৯ ক্যারাটের আস্ত একটা সিঙ্গেলকাট হিরে৷ যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ লক্ষ টাকা৷
কাকতালিয়ভাবে ১০.৬৯ ক্যারাটের একটি হিরে ছাড়াও গত ১৪ জুলাই ৭০ সেন্টের একটি ছোট হিরেও খুঁজে পেয়েছিলেন কুশওয়া৷ স্থানীয় হিরা কার্যালয়ে সেগুলি জমা দিয়েছেন তিনি৷ জেলার ডায়মন্ড অফিসার আরকে পান্ডে জানিয়েছেন, কুশওয়া যে হিরেগুলি জমা দিয়েছেন, সেগুলি ভালো মানের৷ এর দামও ভালো মিলবে৷
মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার হিরের খনি নামমাত্র টাকায় লিজ নিয়ে অনেকেই নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেন। এই সব খনি থেকে হিরে কুড়িয়ে বড়লোক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। সেই তালিকাতেই এবার ঢুকে পড়লেন আনন্দিলাল কুশওয়া৷ হিরের সন্ধান পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তিনি৷ কুশওয়া জানান, এই হিরেগুলি হাতে আসার পর কাজের উৎসাহ আরও বেড়ে গিয়েছে তাঁর৷ তিনি বলেন, ‘‘এই অমূল্য রত্নের খোঁজে আরও বেশি করে কাজ করব৷ এটা আমার কাছে একটি বড় সাফল্য৷ আগামী দিনেও আমি এই কাজ করে যেতে চাই৷ আশা করি ভবিষ্যতে এমনই বড় বড় হিরের সন্ধান পাব৷ তবে এই হিরেটি খুঁজে পাওয়ার পিছনে আমার সহকর্মীরও ভূমিকা রয়েছে৷ এর আগেও একটি ছোট হিরে হিরে অফিসে জমা দিয়েছিলাম আমি৷’’ গত ছয় মাস ধরে এই খনিতে হিরের সন্ধানে কাজ করছিলেন ৩৫ বছরের কুশওয়া এবং তাঁর পার্টনার৷ সম্প্রতি সফল হয় তাঁদের সেই প্রচেষ্টা৷
পান্না শহরটি ‘ডায়মন্ড সিটি’ নামেই প্রসিদ্ধ৷ মধ্যপ্রদেশের উত্তর-পূর্ব অংশের বিন্ধ্যাঞ্চলের মনোরম পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত এটি৷ পান্না, অজয়গড় স্টেট, চরখারী, বিজাওয়ার, ছত্রপুর নিয়ে গঠিত পান্না জেলা৷