নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরই আমআদমি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বস্তি দিতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)৷ তিন মাসের জন্য লোন মোরাটোরিয়াম বা ঋণের ইকুয়াল মান্থলি ইনস্টলমেন্ট (ইএমআই) পিছিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলিকে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন আরবিআই গভর্নর৷ সেই মতো অধিকাংশ ব্যাংকই ইএমআই স্থগিত রাখে৷ পরবর্তীকালে আরও তিন মাসের জন্য মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ বাড়ানো হয়৷ কিন্তু নতুন করে আবার মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ বৃদ্ধির চিন্তাভাবনায় অস্বস্তিতে পড়েছে ব্যাংকিং সেক্টর৷ তাদের আশঙ্কা, ফের মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ বাড়ানো হলে ব্যাংকের সম্পত্তির উপর তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে৷
সর্বভারতীয় এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, লোন পরিশোধের ক্ষেত্রে মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে এখন দ্বিবিভক্ত ব্যাংকিং সেক্টর৷ বর্তমান মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অগাস্ট, ২০২০৷ ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ অর্থবর্ষে ব্যাংকের আর্থিক ঘাটতির দিকটি বিবেচনা করে ইএমআই স্থগিতের মেয়াদ পুনরায় বাড়ানো উচিত হবে না বলেই মন্তব্য করেছেন স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান রাজনীশ কুমার৷ বিশ্লেষকদের মতে, মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ বাড়ানো হলে এর প্রভাব পড়বে ব্যাংকগুলির সম্পত্তির উপরে৷ সমস্যায় পড়তে হবে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকেও৷ লোন মোরাটোরিয়ামের জন্য ব্যাংকগুলিকে একাধিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে৷ অধিকাংশ ব্যাংকই ইএমআই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আশাবাদী নয়৷ ছয় মাসের মোরাটোরিয়ামে ইতিমধ্যেই ব্যাংকগুলি একাধিক সমস্যায় পড়েছে৷
আরবিআই-এর ঘোষণা অনুযায়ী সব ধরনের মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়। অর্থাৎ যে সব ঋণ নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে মাসিক কিস্তিতে শোধ করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সেই সব ঋণের ইএমআই এর আওতায় এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ি, গাড়ি, শিক্ষার জন্য নেওয়া ঋণ। এমনকি পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। তা ছাড়া ফ্রিজ, টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম কার্যকর করা হয়৷