নয়াদিল্লি: শিশু ও কিশোরদের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৩ জনকে গ্রাস করছে মানসিক অবসাদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অধীনস্থ এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে গড়ে একজন পড়ুয়া! স্বাস্থ্যমন্ত্রকে’র অন্তর্গত আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, চাপ বাড়ার ফলেই আত্মহননের পথে এগোচ্ছে যুবসম্প্রদায়।
সারা বিশ্বে বছরে হতাশার শিকার ৫ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ। করোনা কেটে গেলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। পরিবারে কারও করোনা সংক্রমণে মৃত্যু, রোগের আতঙ্ক, বাইরে খেলাধুলা বন্ধ, বদলে যাওয়া পঠনপাঠনের অভ্যাস ইত্যাদি একগুচ্ছ কারণের জন্যই এই হতাশা আসছে মানুষের মধ্যে, এমনটাই দাবি করছে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক। তাই দেরি না করে শিশু ও কিশোরদের মনে করোনার কুপ্রভাব মুছতে দ্রুত উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। শুরু হল নতুন কর্মসূচি ‘মনোদর্পণ’। মনের আয়না, যেখানে মিলবে নিজেকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ।
আরও পড়ুন: বাবা মোটর মেকানিক, বৃত্তি নিয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দশমে টপার ছেলে
শুধুমাত্র পড়ুয়াদের জন্যই নয়, শিক্ষক শিক্ষিকাদের কথাও ভেবেছে মন্ত্রক। পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের যেভাবে পরিশ্রম করতে হচ্ছে তাতে তাঁদেরও কিয়দংশের একই অবস্থা। তাই তাঁদের জন্যও নিয়ে আসা হয়েছে আর এক প্রকল্প, নাম ‘নিষ্ঠা’। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ‘পাইলট’ প্রকল্প। তিনি দাবি করেছেন, আগস্ট মাসেই গোটা দেশে শুরু হবে এই প্রকল্প।
আরও পড়ুন: মাস্ক না পরায় গ্রেফতার দলিত যুবকের ‘হেফাজতে’ মৃত্যু, অন্য তত্ত্ব পুলিশের
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশের ২৮ কোটি পড়ুয়াদের নিয়েই চিন্তিত সরকার। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ১২ কোটির পাশাপাশি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির ৬ কোটি ৪০ লক্ষ পড়ুয়াকে নিয়ে চিন্তা সবথেকে বেশি। তাই ‘মনোদর্পণ’ কর্মসূচিতে সকাল ৮টা থেকে টানা ১২ ঘণ্টা একটি টোল ফ্রি নম্বরে (৮৪৪৮৪৪০৬৩২) মনোবিদদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী পোখরিয়ালের কথায়, গোটা বিশ্বই আজ করোনার কবলে কিন্তু তার মধ্যেও স্কুল থেকে কলেজস্তরের পড়ুয়াদের আত্মবিশ্বাস অটুট রাখতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার।