বিধানসভার অধিবেশনকে কেন্দ্র করে শুরু মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল তরজা

বিধানসভার অধিবেশনকে কেন্দ্র করে শুরু মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল তরজা

জয়পুর:  রাজস্থানের রাজনীতিতে নয়া মোড়৷ এবার রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রর সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট৷  

শচীন পাইলট এবং অন্যান্য বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা যাবে না বলে এদিন রায় দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট৷ আদালতের এই নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে শচিন শিবির। এদিকে আদালতের রায় বেরনোর পরই এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। শক্তি পরীক্ষার জন্য রাজ্যপালের কাছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানান তিনি। 

সোমবার থেকে বিশেষ অধিবেশন শুরু করার আবেদন জানিয়েছেন গেহলট৷ কিন্তু এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি রাজ্যপাল৷ কংগ্রেসের শক্তি পরীক্ষা আটকানোর জন্য তাঁর মাথায় ‘উপর মহলের চাপ’ রয়েছে বলেও এদিন অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভা অধিবেশন শুরু করার জন্য গতকাল চিঠি লিখে রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম আমরা৷ তাঁর উত্তরের আশায় সারা রাত অপেক্ষা করলেও, কোনও সাড়া মেলেনি৷ সহজ একটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা থেকে কোন শক্তি তাকে প্রতিহত করছে, তা বোধগম্য নয়৷’’ সাংবিধানিক পদে থেকে কেন রাজ্যপাল বিশেষ অধিবেশন ডাকতে পারছেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গেহলট। 

রাজ্যপালের উপর চাপ সৃষ্টি করতে এদিন প্রায় ১০০ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বাসে চেপে রাজভবনে পৌঁছান গেহলট৷ রাজ্যপাল আসার আগে রাজভবনের ভিতরেই স্লোগান তোলেন বিধায়করা৷ তাঁরা বলেন, ‘‘ গেহলট লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন৷ আমরা তাঁর সঙ্গে আছি৷ আপনাকে অধিবেশন ডাকতে হবে৷’’ এর পরেই রাজ্যপাল এসে গেহলটকে জানান, ‘‘এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে৷ আইনের দিক থেকে আপনার আবেদন আমি বিবেচনা করে দেখছি৷’’ 

রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে৷ আমরা চাই সোমবার থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হোক৷’’ অধিবেশন শুরু হলেই ‘‘দুধ কা দুধ, অর পানি কা পানি হো জায়েগা’’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ অন্যদিকে, রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে তিনি ‘না’ করেননি৷ তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাননি তিনি৷ অধিবেশন না ডাকার অন্যতম কারণ করোনা সংক্রমণ বলেও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *