বেঙ্গালুরু: পেশায় চিকিৎসক, করোনার বিরুদ্ধে একবারে প্রথম সারিতে লড়াই করছেন। সেই লড়াইতেই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু তিনটে হাসপাতাল ঘুরেও ঠাঁই হল না কোথাও। সেই করোনা যোদ্ধাকে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হল। এই খবর প্রকাশিত হতেই দেশজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে কি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সত্যি ভেঙে পড়েছে! একজন চিকিৎসকের যদি এই অবস্থা হয়, তবে সাধারণ মানুষের কী পরিণতি হবে৷ প্রশ্ন তুলছে আমজনতা৷
আরও পড়ুন: ‘পাঁপড় খাও করোনা ভাগাও’, নয়া দাওয়াই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর
ওই চিকিৎসকের নাম মঞ্জুনাথ এসটি। তিনি চিক্কামুদাভাদির প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভিড-১৯ ডিউটিতে ছিলেন। সেখান থেকেই করোনা আক্রান্ত হন কর্নাটকের ওই চিকিৎসক। জুন মাসের শেষের দিকে তাঁর করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর পরীক্ষা করানোর পর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা হয়। কিন্তু তিনটি হাসপাতালে ঘোরার পরেও কোনও শয্যা খালি পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় কার্যত বিনা চিকিৎসায় বেঙ্গালুরু মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সুখবর! ভারতের বাজারে করোনা ওষুধ আনতে চলেছে সিপলা
চিকিৎসকের মৃত্যুর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তাঁর পরিবার। মঞ্জুনাথের স্ত্রীও একজন চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর তিনটি হাসপাতাল তাঁদের ফিরিয়ে দেয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি। আর সেই কারণেই বিনা চিকিৎসায় তাঁকে মারা যেতে হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে কোভিডে চিকিৎসকদের মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করেছে। সারা দেশে কোভিডে শতাধিক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, চিকিৎসক মঞ্জুনাথের ফুসফুসে বেশ ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে ‘প্রন’ অবস্থায় অর্থাৎ উপুড় করে শুইয়ে রাখার প্রয়োজন ছিল। এ জন্য দরকার ছিল এক ফিজিওথেরাপিস্টের। তবে কোনও ফিজিওথেরাপিস্টই পিপিই কিট পরেও কোভিড আইসিইউতে প্রবেশ করতে রাজি হয়নি।