ভুবনেশ্বর: পরিবেশ দূষণ নিয়ে যখন সর্বত্রই জল্পনা, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও মহানদী নদীর তীর বরাবর গড়ে উঠেছে উড়িষ্যার প্রথম ইকো-ভিলেজ। যার অন্যতম প্রধান কারিগর প্রাক্তন ডিভিশনাল বন আধিকারিক অংশু প্রজ্ঞান দাস। বর্তমানে স্থানীয় গ্রামবাসীদের রুটিরুজির দিশা দেখিয়েছে ইকো-ভিলেজটি। নয়াগড় জেলার মুদুলিগাদিয়ার সাতকোশিয়া সংলগ্ন এই পর্যটনকেন্দ্রটি যেন আস্ত একটা স্বর্গ।
সাতকোশিয়া অভয়ারণ্যের সংলগ্ন ছোট্ট গ্রাম। জীবনধারণের জন্য গ্রামবাসীদের কাছে বনজ সম্পদই একমাত্র অবলম্বন ছিল। কিন্তু সেখান থেকে তাঁরা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। হাতে হাত মিলিয়ে গড়েছেন ইকো-ভিলেজ। পর্যটনকেন্দ্র থেকে যা আয় হয়, তার সিংহভাগই পান তাঁরা। বাকি লভ্যাংশ ব্যবহৃত হয় ইকো-ভিলেজের উন্নতিকল্পে। তবে এই পুরো বিষয়ের যিনি মূল কারিগর, তিনি তৎকালীন বন দফতরের আধিকারিক অংশু প্রজ্ঞান দাস।
বর্তমানে তিনি বন দফতরের ডেপুটি কনজার্ভেটর (ডিসিএফ)। তাঁর কথায়, ‘এই ইকো ট্যুরিজম এর জায়গা গুলি তাদের প্রয়োজনীয় উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছিল। ধীরে ধীরে তারা উপার্জনের জন্য বনজ দ্রব্যের প্রতি কম নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। ওড়িশার ইকো ট্যুরিজম এর মডেলটিই এখন ভারতের একমাত্র গোষ্ঠীভিত্তিক মডেল।
এখানে ভ্রমণ সংক্রান্ত সার্বিক আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ সকলের মধ্যে মাইনে হিসেবে ভাগ করে দেওয়া হয়। আর বাকি কুড়ি শতাংশ এখানের পর্যটনকেন্দ্রগুলির দেখভাল ও সংশোধন এবং উন্নতির খাতে ব্যয় করা হয়।’
This is a remarkable story!
Forest Officer @AnshuPragyan created Odisha’s first Eco-Village and through EcoTourism improved the livelihood of the local community.🇮🇳Win – win: Good for people, good for the planet!https://t.co/i1dqa3exAj pic.twitter.com/urXNPXqckQ
— Erik Solheim (@ErikSolheim) July 9, 2020
Loading tweet…