নয়াদিল্লি: করোনা আবহে পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও সংক্রমণ প্রতিরোধী ফ্যাব্রিক তৈরির কাজে এগিয়ে আসছে। এর আগে মুম্বইয়ের জনপ্রিয় পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা ডনিয়রের তরফে এই ধরনের উদ্যোগে নেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সেই পথে হাঁটছে অন্যতম জনপ্রিয় সংস্থা সিয়ারামস। সম্প্রতি তাদের তরফে অ্যান্টি-করোনা ফ্যাব্রিক বাজারে আনার ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের এই পণ্য কোভিড ১৯ ভাইরাস মোকাবিলায় ৯৯.৯৪ শতাংশ কার্যকরী।
আরও পড়ুন- শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালিয়ে ৪২৯ কোটি ঘরে তুলেছে কেন্দ্র, একহাত রাহুলের
কোভিড ১৯ ভাইরাসে জেরবার গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে মাস্ক, স্যানিটাইজারেই ভরসা বিশ্ববাসীর। তবে এরই মধ্যে ইতিবাচক বার্তা দিল সিয়ারামস। অ্যান্টি-করোনা ফ্যাব্রিক আনতে চলেছে সংস্থাটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) স্বীকৃত ল্যাবে পরীক্ষার পরই তারা এই ঘোষণা করেছে। সূত্রের খবর আমেদাবাদের ওই ল্যাবটি ছাড়াও বিটিএস মুম্বই ল্যাব থেকেও স্বীকৃত পেয়েছে সিয়ারামসের এই অ্যান্টি করোনা ফ্যাব্রিক।
আরও পড়ুন-চিনা বায়ুসেনাকে একা টক্কর দেবে IAF, সীমান্তে যুদ্ধ বাধলে পাল্লা ভারি ভারতের
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের এই ফ্যাব্রিকে এমন উপাদান রয়েছে, যা ভাইরাস ধ্বংস করতে সক্ষম। সিয়ারামসের তরফে সিএমডি রমেশ পোদ্দার জানিয়েছেন, বিশেষ কসমেটিক ভিত্তিক রাসায়নিক কোটিং ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে তাদের এই ফ্যাব্রিক, যার ফলে এতে পজিটিভ কম্পাউন্ড রয়েছে। এই পজিটিভ কম্পাউন্ড নেগেটিভ কম্পাউন্ডের সংস্পর্শে এলে বাইরের লিপিড কোটিং নষ্ট করে ভাইরাসকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মেরে ফেলে। সিয়ারামসের অ্যান্টি করোনা ফ্যাব্রিক নিয়ে গবেষণায় সাহায্য করেছে অস্ট্রেলিয়ার হেলথগার্ড নামে একটি সংস্থা।
আরও পড়ুন- করোনা কেড়েছে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির প্রাণ, শূন্য পরিবারে একলা ফিরলেন করোনা-জয়ী স্ত্রী!
এর আগে মুম্বইয়ের সংস্থা ডনিয়র ইন্ডাস্ট্রির তরফে সিইও রাজেন্দ্র আগরওয়াল জানিয়েছিলেন HeiQ কোম্পানির Viroblock NPJ03 প্রযুক্তির কথা। এই বিশেষ প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে করোনা আবহে। তিনি তখন আরও জানিয়েছিলেন, ডনিয়রের তৈরি অ্যান্টি-করোনা ফ্যাব্রিক ৯৯.৯৯ শতাংশ ভাইরাস মারতে সক্ষম। অন্যদিকে বাংলাদেশের সংস্থা নোমান গ্রুপের শাখা প্রতিষ্ঠান জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্সও করোনা প্রতিরোধী পোশাক তৈরির কথা বলেছিল কয়েকদিন আগে। সংস্থার তরফে রাশিদ আশরফ খান জানিয়েছিলেন, ‘বিশ্বের প্রথম অ্যান্টি ভাইরাস ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া কাপড় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি আমরা, যা মাত্র দু’মিনিটের মধ্যে যে কোনও ধরনের ভাইরাস নষ্ট করতে পারবে।’ তবে, এই অ্যান্টি-করোনা ফ্যাব্রিক ল্যাবে পরীক্ষিত হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি৷