ভারতেও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হোক, আবেদন সিরাম ইনস্টিটিউটের

সূত্র মতে, সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে,  ১৮ বছরের বেশি বয়সী অন্তত ১,৬০০ জন অংশগ্রহণকারী এই গবেষণায় নাম তালিকাভুক্ত করা হবে। আগামী আগস্টের মধ্যেই ভারতে 'কোভিশিল্ড'এর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্বে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

নয়াদিল্লি: ইতিমধ্যেই দেশীয় দুই করোনা প্রতিষেধক ভারত বায়োটেকের 'কোভ্যাক্সিন' এবং জাইডাস ক্যাডিলার 'জাইকোভ-ডি' মানব দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে। কোভ্যাক্সিনের ১ম পর্বের ট্রায়ালও চলছে পুরোদমে। এর মধ্যেই ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) এর কাছে এদেশে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি চাইল সিরাম ইনস্টিটিউট, যারা ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের  অ্যাস্ট্রাজেনিকার সঙ্গে য়যৌথভাবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ করছে। শনিবার বিস্বস্ত সূত্রের এই খবরের কথা প্রকাশিত হল একাধিক সংবাদ সংস্থা।

সূত্র অনুসারে পিটিআই জানিয়েছে, পুনে ভিত্তিক এই ওষুধ সংস্থা শুক্রবার ডিসিজিআইয়ের কাছে ভারতে 'কোভিডশিল্ড'-এর ট্রায়াল পরিচালনার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। আবেদন অনুসারে, করোনার বিরুদ্ধে 'কোভিশিল্ড' এর সুরক্ষা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ধারণের জন্য এটি সেই অর্থে পর্যবেক্ষণের উপর জোড় না দিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে যথেচ্ছ পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। স্বাস্থ্যবান ভারতীয় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেই এই পরীক্ষা চালানো হবে। সূত্র বলছে, সংস্থাটি জানিয়েছে যে ১৮ বছরের বেশি বয়সী অন্তত ১,৬০০ জন অংশগ্রহণকারী এই গবেষণায় নাম তালিকাভুক্ত করা হবে। আগামী আগস্টের মধ্যেই ভারতে 'কোভিশিল্ড'এর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্বে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের পাঁচটি ট্রায়াল সাইটে পরিচালিত এই ভ্যাকসিনের প্রথম দুটি পর্বের পরীক্ষায় প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে যে সুরক্ষিত হিসেবে এই প্রতিষেধকের একটি গ্রহণযোগ্য চিত্র রয়েছে এবং একইধরণের প্রতিরোধ প্রক্রিয়া বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম।  অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক বাজারে আনতে ইতিমধ্যেই একটা বড় সংখ্যক ডোজ তৈরি ও বিক্রিও করে ফেলেছে বিশ্বের এই বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক ও উৎপাদনকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া। ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনিকার সহযোগিতায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি জেনার ইনস্টিটিউটের তৈরি এই প্রতিষেধক উৎপাদনের জন্য একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে এই সংস্থা। সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা আগেই জানিয়েছেন এই মুহূর্তে এক বিলিয়ন প্রতিশোধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তারা। মূলত মাঝারি ও নিম্ন অর্থনীতির দেশগুলির জন্যই এই প্রতিষেধক তৈরি করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + seven =