করোনা রোগীকে ৬ কিমি নিয়ে যেতে ৯ হাজার টাকা ভাড়া হাঁকল অ্যাম্বুল্যান্স!

করোনা আবহে যেন মগের মুলুক হয়ে গিয়েছে শহর কলকাতা। নাহলে রোগীদের হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে প্রায় ১০ হাজার টাকা ভাড়া চায় কোনও গাড়ি চালক? তাও আবার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেওয়ার জন্য? শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটেছে খাস কলকাতা শহরে। মাত্র ৬ কিলোমিটার যাওয়ার জন্য এই ভাড়া হেঁকেছেন এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক।

কলকাতা: করোনা আবহে যেন মগের মুলুক হয়ে গিয়েছে শহর কলকাতা। নাহলে রোগীদের হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে প্রায় ১০ হাজার টাকা ভাড়া চায় কোনও গাড়ি চালক? তাও আবার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেওয়ার জন্য? শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটেছে খাস কলকাতা শহরে। মাত্র ৬ কিলোমিটার যাওয়ার জন্য এই ভাড়া হেঁকেছেন এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক। 

করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে বারবার প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞরা কাঁধ কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার কথা বলছেন, সেখানে এমন ঘটনা যেন দুর্ভাগ্যজনক, তেমনই মর্মান্তিক। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, যে দুটি হাসপাতালের কথা বলা হচ্ছে, তাদের মধ্যে দূরত্ব ছয় কিলোমিটার। তাঁর দুই ছেলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৯ মাস এবং অপরজনের সাড়ে ৯ বছর। উভয়ই চাইল্ড ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে (আইসিএইচ) চিকিৎসাধীন ছিল। শুক্রবার তাদের COVID-19 এর পরীক্ষা করা হয়েছিল। ফল পজিটিভ আসে। তার পরে তাদের বাবা দুজনকেই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই কারণেই অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করেছিলেন তিনি।

ছেলেদের বাবা অভিযোগ করেছেন যে অ্যাম্বুল্যান্স চালক তাদের পার্ক সার্কাস এলাকার চাইল্ড ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জন্য ৯ হাজার ২০০ টাকা চেয়েছিলেন। দুটি হাসপাতালের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। তিনি তখন জানান এত টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। গাড়ি চালককে তিনি অনুরোধ করেন যাতে ভাড়া কম করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, চালক সেই কথার পাত্তা দেননি। উলটে তিনি ছোট ছেলেটির কাছ থেকে অক্সিজেন সাপোর্ট সিসটেম সরিয়ে নেন। এরপর দুই ভাই ও তাদের মাকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের করে দেন চালক। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়। চাইল্ড ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের চিকিৎসকদের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। রোগীদের মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২ হাজার টাকা রফা হয়। ওই ব্যক্তি বলেন, “আমি চাইল্ড ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের ডাক্তারদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁদের কারণেই আমার বাচ্চাদের আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে পেরেছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + 7 =