নয়াদিল্লি: চলতি বছরের জানুয়ারিতেই আইন সংশোধন করেছিল টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সংক্ষেপে ট্রাই। কিন্তু সেই আইন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি মানেনি। আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে সমস্ত সংস্থাকে চ্যানেল ও তার দাম উল্লেখ করে ওয়েবসাইটে জানাতে বলল ট্রাই। পাশাপাশি ট্রাই আইন অনুযায়ী নির্ধারিত চ্যানেল মূল্য মানতে নির্দেশ দেওয়া হল।
দর্শকদের পছন্দের চ্যানেল দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আগের বছরের (২০১৯) শেষের দিকে ট্রাই নতুন নিয়ম জারি করেছিল। সেখানে প্যাকেজের মাধ্যমে নিজের নিজের পছন্দ মতো চ্যানেল ক্রেতারা বেছে নিতে পারবেন এমনটাই জানানো হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেছে সেই আইন কোনও পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাই ঠিকমতো মেনে নেয়নি। ফলে ক্রেতা স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে ট্রাই। সরকারি যে কটি চ্যানেল ফ্রিতে দেওয়া হয়েছিল তা এখন কতজন দর্শক দেখেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সমস্যা। কোনও চ্যানেল যোগ করতে হলে তার জন্য অধিক মূল্য দিতে হত ক্রেতাদের।
এরপর দেখা যায়, বেসরকারি চ্যানেলগুলির পক্ষ থেকে তাদের চ্যানেলের একটি সমষ্টি প্যাকেজ হিসাবে ক্রেতার কাছে নিয়ে আসা হয়। এতে আসলে লাভ হয়েছিল ওই বেসরকারি চ্যানেলগুলিরই। সেই আইনে বলা হয়েছিল প্রত্যেক ক্রেতাকে পরিষেবা প্রদানকারী কেবল অপারেটরকে জিএসটি বিল দিতে হবে। এখনও পর্যন্ত অনেক কেবল অপারেটরই এই নীতি না মেনে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে। যদিও পরিষেবায় কোনও প্রকার ঘাটতি দেখা যায়নি তাতে। কিন্তু ট্রাই নির্ধারিত আইন না মেনে পরিষেবা প্রদানে লাভের অংশ তুলে নিচ্ছে এই সমস্ত কেবল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি। সান ডিরেক্ট, জিটিপিএল, হ্যাথওয়ে’র মতো কেবল অপারেটর সংস্থাগুলি নিজেদের মতো করে চ্যানেল সারণী প্রস্তুত করে ক্রেতাদের তা কিনতে বাধ্য করছে।
এই মর্মে শুক্রবার, ট্রাই নয়া নির্দেশ জারি করে জানিয়ে দিল, কেবল অপারেটর সংস্থাগুলিকে নতুন নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং চ্যানেল ও তার দাম, যা কিনা আলাদা চ্যানেল ও প্যাকেজ উভয় ভাবেই ট্রাইকে জানাতে হবে। সমস্ত কিছুই ট্রাইয়ের ওয়েবসাইটে ১০ আগস্টের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।