উত্তরবঙ্গের রাজবংশীদের বিভিন্ন মন্দির থেকে মাটি ও জল যাচ্ছে রাম মন্দিরের ভিত পুজোতে

উত্তরবঙ্গের রাজবংশীদের বিভিন্ন মন্দির থেকে মাটি ও জল যাচ্ছে রাম মন্দিরের ভিত পুজোতে

অযোধ্যা: ৫ অগস্ট য় রাম মন্দিরের ভিত পুজো।  মন্দিরের ভিত পুজোর আগে থেকে ৩ অগস্ট থেকে শুরু হবে মহাযজ্ঞ। এই ভিত পুজোর জন্যই উত্তরবঙ্গের  বিভিন্ন রাজবংশী এলাকা অধ্যুষিত মন্দির থেকে মাটি ও জল নিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তা মনয়াগুড়ির জল্পেশ মন্দির হোক কিংবা কোচবিহারের মদনমোহনের মন্দির।

বিভিন্ন জেলায় আরএসএসের সাংগঠনিক বিস্তারকরা আসেন ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দিরে। তাঁরাই মাটি ও জল সংগ্রহ করে তুলে দেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাতে। জল্পেশ মন্দির ছাড়াও আরএসএস সদস্যরা জটিলেশ্বর, মদনমোহন, বানেশ্বর, গোসানীমারি, ভামরী মন্দিরের মাটি সহ তিস্তা ও তোর্ষা নদীর জল সংগ্রহ করেন।  এতেই রাজনীতি খুঁজে পাচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা।

ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায় বলেন,  এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বিজেপি রাজবংশীদের সঙ্গে ধর্মের নামে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। করোনা আবহে যখন মানুষ বিপদে পড়েছিলেন, তখন কোনও বিজেপি নেতাকে দেখতে পাওয়া যায়নি। তখন তাঁরা ঘরে লুকিয়ে বসে ছিলেন। তখন একা তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। এখন আবার রাজনীতির গন্ধ পেয়ে বিজেপি নেতারা বাইরে বের হতে শুরু করেছেন।

জলপাইগুড়িতে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, সমস্ত কর্মকাণ্ড ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে হচ্ছে। বিজেপি আসলে মানুষের রুটি রুজির চিন্তা ভুলিয়ে দিতে চাইছে। হিন্দুত্ব নিয়ে ব্যবসা করতে চাইছে বিজেপি। রাজনীতি করতে চাইছে।পাল্টা বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি দীপেন প্রামানিক বলেন, আসলে রাজবংশীদের সঙ্গে খারাপ করেছে সিপিএম ও  তৃণমূল। এই দুই দলকে রাজবংশীরা সমর্থন করেছিল। কিন্তু এই সম্প্রদায়ের জন্য কোনও কাজ রাজনৈতিকদলগুলো করেনি। তাই রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ ভরসা রাখতে শুরু করেছেন মোদি ও তাঁর দলের ওপর। তা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল ও সিপিএম বলে দাবি করেন দীপেন প্রামানিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + two =