নয়াদিল্লি: বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার টানাপোড়েন চলাকালীন মুঘল সম্রাট বাবরের বংশধর অযোধ্যাতে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত যদি জমির মালিকানা বাবরের বংশধরদের হাতে তুলে দেয় তবে তারা রাম মন্দির নির্মাণের জন্য জমি হিন্দুদের হাতে তুলে দেবে। এবার নিজের সিদ্ধান্তে বহাল থেকে আরও একধাপ এগোল বাবরের বংশধর। তিনি জানালেন, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য তিনি সোনার ইট দিতে চান।
আৎও পড়ুন: জমজমাট প্রেক্ষাগৃহ এখন কোভিড কেয়ার, উপসর্গহীনদের দেখভালে নয়া সেন্টার
বাবরের প্রত্যক্ষ বংশধর যুবরাজ ইয়াকুব হবিবউদ্দিন টুসি সম্প্রতি বলেছেন, “আমরা আশাবাদী যে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে সিদ্ধান্তই নেয় না কেন, এটি ১০০ কোটি হিন্দুর বিশ্বাস ও বিশ্বাসকে সম্মান করবে। আমরা সুপ্রিম কোর্টকে আগেও জানিয়েছিলাম যে জমিটি বাবরের। শতবর্ষ আগে মীর বাকী যা করেছিলেন তার জন্য আমরা হিন্দুদের কাছেও ক্ষমা চেয়েছিলাম।” ইউটিউবে দ্য রয়েল মোগল ফ্যামিলি চ্যানেলে একথা জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন যে মোগল রাজবংশের পরিবারের সদস্য হিসাবে, তিনি হিন্দুদের বিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে এবং দীর্ঘস্থায়ী মামলাটি সমাপ্ত করার জন্য খুশি।
তিনি আগেই বলেছিলেন মন্দিরের জন্য হিন্দুদের সাহায্য করবেন তিনি। প্রতিশ্রুতি মতো মুঘল পরিবার থেকে মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের জন্য সোনার তৈরি প্রথম ইট দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন রাজকুমার। এর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর থেকে সময় চেয়েছেন বলেও দাবি জানান তিনি। দুদিন আগে রাম মন্দির ট্রাস্টের এক সদস্য জানিয়েছিলেন, এই মন্দির তৈরির জন্য সমাজের সব সম্প্রদায়ের মানুষের থেকেই অনুদান নেওয়া হবে। অতএব বাবরের বংশোধরের সোনার ইট গ্রহণে মন্দির কর্তৃপক্ষ কোনও রকম ইতস্তত করবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অসুস্থ ছেলেকে দেখতে টানা ৫ দিন ১৮০০ কিমি বাইক চালিয়ে এলেন মা
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে বাবরের বংশোধর হাবিবুদ্দিন তুসি বলেছিলেন, ওই জমির কোনও নথি তাঁর কাছে নেই। তবে তিনি যেহেতু মুঘলদের বংশধর, তাই ওই জমিতে তাঁর অধিকারই সব থেকে বেশি। বাবরের বংশধর হিসাবে তাঁর হাতেই অযোধ্যার বিতর্কিত জমি সুপ্রিম কোর্টের তুলে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি ওই জমি পুরো জমিটাই রাম মন্দির তৈরির জন্য হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি এও জানান ১৫২৯ সালে মন্দির ভেঙেই সেখানে মসজিদ বানানো হয়েছিল।