নয়াদিল্লি: বাইক চালানোর ক্ষত্রে এবার একগুচ্ছ নিয়মবিধি জুড়ল কেন্দ্র৷ এই সকল নিয়ম মেনেই রাস্তায় চলতে হবে বাইক সওয়ারিদের৷
সেন্টার মোটর ভেহিকল আইন সংশোধন করে বাইক আরোহীদের জন্য নয়া গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ প্রতিটি বাইকে হ্যান্ডহোল এবং ফুটরেস্ট বা পাদানি থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, যে সকল আরোহী শাড়ি পড়ে বাইকে চাপবেন, সেই বাইকে ‘শাড়ি গার্ড’ থাকা আবশ্যক৷ এছাড়াও পিছনের চাকায় সুরক্ষামূলক ডিভাইস লাগাতে হবে। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন- অগাস্টে কোন কোন দিন সম্পূর্ণ লকডাউন বাংলায়? দেখুন নয়া তালিকা
সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকলস আইন ২০২০-র সপ্তম সংশোধনে এই নয়া নিয়মগুলি কার্যকর করা হয়েছে। সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকলস বিধিমালা ১৯৮৯ সংশোধন করে একটি গেজেট পাস করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রুখতেই এই বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। প্রতিটি বাইক সওয়ারী ও আরোহীর জন্য এই আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
বাইক ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নয়া নির্দেশিকার পর বিলাসবহুল বাইকের নকশায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে৷ এর জন্য বিকল্প নকশার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে৷ কারণ নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, বাইকের পিছনের সিটে বসার জন্য অবশ্যই হ্যান্ডহোল্ড ও শাড়ি গার্ড থাকতে হবে৷ অধিকাংশই বিলাসবহুল বাইকেই যা নেই৷ এছাড়াও ২০২২ সাল থেকে বাইক তৈরির সময় তাতে পাদানি রাখা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে কেন্দ্র৷
আরও পড়ুন- অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির জন্য সোনার ইট দিতে চান বাবরের বংশোধর
বহাইকের পিছনের আসনে বসা আরোহীর জামা-কাপড় পিছনের চাকায় জড়িয়ে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পিছনের চাকার দু’পাশে গার্ড লাগানোর কথা বলা হয়েছে৷ এছাড়াও পাশাপাশি বাইকে লাইট কন্টেনার রাখার জন্যও সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে। বাইকের পিছনে যদি ধারকটি রাখা হয় তবে কেবল চালককেই অনুমোদন দেওয়া হবে। তাঁর বাইকের পিছনের আসনে কোনও ব্যক্তি বসতে পারবেন না। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর এই বিধিগুলি পরিবর্তন করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার টায়ার সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকাও জারি করেছে। এর আওতায় সর্বাধিক সাড়ে ৩ টন ওজনের যানবাহনের জন্য একটি টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেমের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।