লখনউ: উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় একসময় যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল, বহু বিবাদ,আইনি লড়াইয়ের পর এখন সেখানে রাম মন্দিরের নির্মানের সূচনা উপলক্ষে ভূমি পূজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। তবে গত বছর সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে বিকল্প ৫ একর জায়গায় এবার মসজিদ নির্মাণের প্রস্তুতিও শুরু করে দিল সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড। বুধবার বোর্ডের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে এই বিকল্প পাঁচ একর জমিতে মসজিদ নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।
বোর্ডের জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এটি ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। বিবৃতিতে এই ট্রাস্টের ১৫ জন সদস্যের মধ্যে নয় জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি হচ্ছে উওর প্রদেশ সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড। এই ট্রাস্টের ১৫ জন সদস্যের মধ্যে যে ন-জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই ওয়াকফ বোর্ডের কর্মী বা সদস্য। ট্রাস্টের সভাপতি হচ্ছেন জুফার আহমদ ফারুকি, সহ-সভাপতি আদনান ফারুখ শাহ, সচিব আথার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ফয়েজ আফতাব এবং সদস্য মোহাম্মদ জুনাইদ সিদ্দিকী, শেখ সৌদুজ্জামান, মোহাম্মদ রশিদ এবং ইমরান আহমদ। ট্রাস্টের বাকি ছয় সদস্যের নাম শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মে অযোধ্যার ধানিপুর গ্রামে পাঁচ একর জমি ইউপি সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ডকে বরাদ্দ দেওয়া হলেও এখনও তার কৃষি বিভাগের দখলে রয়েছে। রাজ্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত জমিটি গ্রহণ করার পরে সেখানে একটি মসজিদ, ইন্দো-ইসলামিক সংস্কৃতি প্রদর্শনীর জন্য দুটি কেন্দ্র, একটি দাতব্য হাসপাতাল এবং একটি পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনের জন্য ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড।
অযোধ্যায় বিতর্কিত রামজন্মভূমি ও বাবরি মসজিদ নিয়ে ২০১০ সালের এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে গত বছরের নভেম্বরে খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট, যেখানে নির্মোহী আখড়া, ভগবান রাম এবং ইউপি সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানের স্বত্ত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। রাম বিরাজমানকে উপাধিতে ভূষিত করেছিল। নির্দিষ্ট অঞ্চলের অধীনে বিকল্প পাঁচ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ১৯৯৩-এর অযোধ্যা আইনে গঠিত ট্রাস্টের পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হয়েছিল নির্মোহী আখড়াকে।