অনলাইনে ক্লাস করতে রোজ পাহাড়ে চড়া স্কুল-ছাত্রকে কুর্নিশ জানালেন সেওয়াগ

করোনা আবহে পড়ুয়াদের এখন অনলাইন ক্লাসই ভরসা। কিন্তু এই অনলাইন ক্লাস করতে গিয়েই নেটওয়ার্ক সমস্যায় ভুগছে অনেক পড়ুয়া। এমনই অবস্থা রাজস্থানের এক ছাত্রের। তার গ্রামে নেটওয়ার্ক নেই। অথচ অনলাইন ক্লাস করতে নেটওয়ার্ক চাইই। তাই নেটওয়ার্ক পেতে গ্রামের কাছে উঁচু পাহাড়ে রোজ উঠতে হয় তাকে। অনলাইন ক্লাস করতে সে রোজ সকাল আটটায় পাহাড়ে ওঠে। বেলা দু‌টো নাগাদ নিচে নেমে আসে।

2ad6a52fd0d153059f0d9d3807d07558

 

নয়াদিল্লি: করোনা আবহে পড়ুয়াদের এখন অনলাইন ক্লাসই ভরসা। কিন্তু এই অনলাইন ক্লাস করতে গিয়েই নেটওয়ার্ক সমস্যায় ভুগছে অনেক পড়ুয়া। এমনই অবস্থা রাজস্থানের এক ছাত্রের। তার গ্রামে নেটওয়ার্ক নেই। অথচ অনলাইন ক্লাস করতে নেটওয়ার্ক চাইই। তাই নেটওয়ার্ক পেতে গ্রামের কাছে উঁচু পাহাড়ে রোজ উঠতে হয় তাকে। অনলাইন ক্লাস করতে সে রোজ সকাল আটটায় পাহাড়ে ওঠে। বেলা দু‌টো নাগাদ নিচে নেমে আসে।

আরও পড়ুন: সরকারি সুবিধা ছাড়াই ৬০ দিনে ১৪৫ ফুট দীর্ঘ সেতু গড়লেন ৩ গ্রামের মানুষ

 

ঘটনাটি রাজস্থানের বারমারের পাঁচপাদরা গ্রামের। ওই ছাত্রের নাম হরিশ। বয়স ১২ বছর।‌ পড়ে জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে। নেটওয়ার্ক পাওয়ার জন্য রোজ উঁচু পাহাড়ে উঠে ক্লাস করে সে। সঙ্গে করে খাবারদাবার এবং জলও নিয়ে যায়। রোজ দিনে একাধিকবার এই কয়েক মাইল ওঠা নামা করা তো আর সম্ভব নয়। তাই যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়েই ওঠে সে। ক্লাস তো তাকে করতেই হবে না হলে প্রতিযোগিতার ইঁদুরদৌড়ে পিছিয়ে পড়বে সে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এভাবেই দিন কাটছে হরিশ। এটাই হয়ে গিয়েছে তার নিত্য দিনের রুটিন। তার এই লড়াইয়ের কাহিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ। হরিশের ছবি সহ টুইট করে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

b9ac5ae122a833f2f3d624e63bbbd95e