লিপুলেখে সেনা বাড়াচ্ছে লাল ফৌজ, নয়া ইঙ্গিত চিনের

লিপুলেখে সেনা বাড়াচ্ছে লাল ফৌজ, নয়া ইঙ্গিত চিনের

 

নয়াদিল্লি: তবে কি এবার অন্য রণকৌশল নিতে চলেছে চিন? গত মে মাস থেকে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সেনার আগ্রাসন বৃদ্ধি এবং ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দু’দেশের সেনা সংঘর্ষের পর দফায় দাফায় সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে বৈঠক হয়েছে৷ এর পরেও লাদাখ সীমান্ত থেকে সরেনি চিনের লাল ফৌজ৷ এবার লাদাখ সীমান্তের বাইরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাসে সেনা শক্তি বাড়াতে শুরু করল বেজিং৷ 

আরও পড়ুন- রাফাল গর্জনে কাঁপছে পাকিস্তান, বাড়তি সামরিক শক্তি বাড়ানোর দাবি ইসলামাবাদের 

গত ১৫ জুন ৪৫ বছর পর লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ জড়ায় দু’ দেশের সেনা৷ এর তিন সপ্তাহ পর ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র আলোচনায় জট কাটে৷ দু’দেশেই ডিসএনগেজমেন্ট (সেনা পিছনো) এবং ডিএসক্যালেশন (সেনা সমাবেশ কমানো)-এ রাজি হয়৷ এখনও চলছে ডিসএনগেজমেন্টের কাজ৷ সেইসঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলেও শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চিন৷ যা ভারতীয় সেনার নজর এড়ায়নি৷ লাদাখ সীমান্তে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে বেজিং দাবি জানালেও, সেই ভুল শুধরে দেয় ভারত৷ উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, পূর্ব লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর কাজ শুরু হলেও সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার এখনও হয়নি। উল্টে লিপুলেখ পাসে সেনা মোতায়েন করা শুরু করে দিয়েছে চিনের লাল ফৌজ৷ লিপু লেখের কিছুটা অংশ রয়েছে উত্তর সিকিমে আর কিছুটা অংশ রয়েছে অরুণাচল প্রদেশে৷ মানস সরোবরের পথে পড়ে এই লিপু লেখ৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে এই অঞ্চলের নাম৷ হিমালয় পাস পর্যন্ত এই অঞ্চলের ৮০ কিমোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মানে ভারতের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নেপাল৷ আবার জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সীমান্তের দু’পাড়ে বসবাসকারী উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এই লিপুলেখ পাসেই ব্যবসাবাণিজ্য চালায়৷ 

আরও পড়ুন- ভারত ও ভুটান ভূখণ্ডে দাবি জানিয়ে সমগ্র বিশ্বকে ‘যাচাই’ করছে চিন, দাবি আমেরিকার

এদিকে, নয়াদিল্লির আপত্তি উড়িয়ে ভারতের তিনটি এলাকা লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের মানচিত্রে জুড়ে সংবিধান সংশোধন বিল পাশ করানোর পর থেকেই এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে৷ এই এলাকাতে রয়েছে ভারত-নেপাল ও চিনের সীমান্ত৷ উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে লিপুলেখ পাসে প্রায় এক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন৷ 

আরও পড়ুন- ভারতের রাফাল শত্রুদের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠবে: রাজনাথ সিং 

এক সেনা আধিকারিকের কথায়, ‘‘চিন যে তৈরি রয়েছে, এটা তারই সংকেত৷’’ তবে মানটিত্র নিয়ে নেপালের সঙ্গে সংঘাতের পর ভারতও যে সীমান্তে কড়া নজর রেখেছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ওই অফিসার৷ তিনি বলেন, ‘‘লাদাখের বাইরেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অবস্থিত অন্যান্য অঞ্চলের উপরও চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে চিন৷ গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আগ্রাসনের পর আমরা তাদের বিশ্বাস করতে পারি না৷’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =