পরপর ৩ বার দুর্ঘটনা, বিশালাকার ক্রেন ভেঙে ১১ শ্রমিকের মৃত্যু

পরপর ৩ বার দুর্ঘটনা, বিশালাকার ক্রেন ভেঙে ১১ শ্রমিকের মৃত্যু

 

বিশাখাপত্তনম:  শিপ ইয়ার্ডে কাজ চলার সময় মাথার উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বিশালকার ক্রেন৷ চাপা পড়ে মৃত্যু হল ১১ জন শ্রমিকের৷ শনিবার দুপুরে বিশাখাপত্তনমের হিন্দুস্তান শিপ ইয়ার্ড লিমিটেডে ঘটনাটি ঘটে৷ 

আরও পড়ুন- রাফাল গর্জনে কাঁপছে পাকিস্তান, বাড়তি সামরিক শক্তি বাড়ানোর দাবি ইসলামাবাদের

জানা গিয়েছে, ক্রেনটি কতটা ভার বহনে সক্ষম তার পরীক্ষা চলার সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, চোখের নিমেষে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল হলুদ রঙের বিশালাকার ক্রেনটি৷ সেই সময় ক্রেনের নীচেই কাজ করছিলেন কর্মরীরা৷ আচমকা ভেঙে পড়ায়, অনেকেই সরে আসতে পারেননি৷ ক্রেন চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের৷ জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ জন কর্মী সেই সময় শিপ ইয়ার্ডে উপস্থিত ছিলেন৷   

আরও পড়ুন- লিপুলেখে সেনা বাড়াচ্ছে লাল ফৌজ, নয়া ইঙ্গিত চিনের

ক্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডি। ডিসিপি সুরেশ বাবু এবং বিশাখাপত্তনমের জেলা শাসক বিনয় চান্দ জানান, আতহদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের৷ তবে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ 

আরও পড়ুন – ভূমি পুজোর আগে অযোধ্যায় পৌঁছল বাংলার পবিত্র মাটি ও জল

চান্দ জানান, এই ক্রেনটি শিপ ইয়ার্ডে নতুন আনা হয়েছিল৷ পুরো দস্তুর কাজ শুরুর আগে সেটি পরীক্ষা করে দেখছিলেন কর্মীরা৷ হিন্দুস্তান শিপ ইয়ার্ড এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কমিটির তরফ থেকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এখনও অকুস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে৷ কিছু শ্রমিক ক্রেনের নীচে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ কারণ ভেঙে পড়া ক্রেনের নীচ থেকে মোবাইল ফোনের রিং হওয়ার শব্দ শোনা গিয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- অনুমতি ছাড়া করা যাবে না তথ্যচিত্র-ওয়েব সিরিজ, নয়া নির্দেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের

স্থানীয় এক ট্রেড ইউনিয়ন নেতা জানান, ক্রেনটির বহন ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার সময় বেশি মাত্রায় মাল তোলা হয়ে গিয়েছিল৷ সে কারণেই ক্রেনটি ভেঙে পড়ে৷ প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তম জেলায় হিন্দুস্তান শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ নির্মাণ, মেরামতি, সাবমেরিন তৈরির কাজও হয়। 

গত মে মাসেই বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল অন্ধ্র৷ এলজি পলিমার্সের প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস লিক হয়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১০ জনের৷ এর পর জুলাই মাসে একটি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে৷ এবার ক্রেন ভেঙে মৃত্যু হল ১১ জনের৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + 18 =