লকডাউনে পরিষেবা ছেড়েছেন ৮২ লক্ষ মোবাইল ব্যবহারকারী: ট্রাই

লকডাউনে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ি থেকে অফিসের কাজ সামলানোর মতো নতুন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা অন্যতম পথ সেখানে দেশের এই বড় অংশের সিম কার্ড ছেড়ে দেওয়ায় চিন্তিত ট্রাই।

কলকাতা: অতিমারির থাবা যেমন রোজগার, অর্থনীতি, ক্রীড়া দুনিয়ায় ছাপ ফেলেছে তেমন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তার প্রভাব স্পষ্ট। সম্প্রতি টেলিকম রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, চলতি বছর এপ্রিল মাসে ৮২ লক্ষ ৩১ হাজার মোবাইল ব্যবহারকারী তাদের পরিষেবা ছেড়ে দিয়েছে। করোনার জেরে গোটা এপ্রিল টানা লকডাউন থাকায় এই ফল দাঁড়িয়েছে বলেই অনুমান ট্রাই কর্তৃপক্ষের।

আরও পড়ুন: নয়া শিক্ষানীতি চাকরি নয়, চাকরিদাতা তৈরি করবে: নমো

দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় টানা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। এই সময় যখন গৃহবন্দি মানুষের মোবাইলই একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম তখন সেখানে এই ফলাফল মাথায় হাত ফেলেছে ট্রাই কর্তৃপক্ষের। লকডাউনের ফলে ভারতের মতো গরিব দেশের অর্থনীতি জোর ধাক্কা খেয়েছে। দেশবাসীর কাছে এই সময় অর্থ নেই বললেই চলে। কোনও প্রকার দু’বেলা খেয়ে বেঁচে থাকা মানুষের সংখ্যাও ভারতে যথেষ্ট বেশি। ফলে এই সময় তাঁরা মোবাইল পরিষেবা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, এমনটাই মনে করছে ট্রাই। 

 

লকডাউনে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ি থেকে অফিসের কাজ সামলানোর মতো নতুন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা অন্যতম পথ সেখানে দেশের এই বড় অংশের সিম কার্ড ছেড়ে দেওয়ায় চিন্তিত ট্রাই। ভারতের মোট টেলিকম ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা ১১৭ কোটি। এক ব্যক্তির একাধিক সিম ব্যবহার করার নিরিখেই এই তথ্য দিয়েছে ট্রাই। সেখানে শুধুমাত্র কলকাতাতেই সিম ছেড়েছেন ২ কোটি ৫৫ লক্ষ মানুষ। সেখানে অন্যান্য জেলা থেকে মাত্র ৪ হাজার ৭৭০ জন গ্রাহক পরিষেবা ছেড়েছেন। 

আরও পড়ুন: পরপর ৩ বার দুর্ঘটনা, বিশালাকার ক্রেন ভেঙে ১১ শ্রমিকের মৃত্যু

কলকাতার মতো শহরতলি অঞ্চলের এই গ্রাফের কারণ হিসাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের চলে যাওয়াকেই চিহ্নিত করেছে ট্রাই। তাদের মতে, কলকাতায় আসা বাইরের জেলার পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের ব্যবহার করা সিম কলকাতাতেই ফেলে গেছেন অথবা সেটি ছেড়ে দিয়ে নিজের জেলায় গিয়ে নতুন সিম কিনেছেন। ফলে সংখ্যাটা এই রকম দাঁড়িয়েছে। ট্রাই-এর মতে সেই সমস্ত পরিযায়ীদের নিজেদের জেলায় গিয়ে নতুন সিম কার্ড কেনায়, এত পরিষেবা চলে গেলেও সমস্যায় পড়তে হয়নি ট্রাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *