নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাম মন্দিরের নকশা প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার রাম মন্দিরের ভূমিপুজো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি বহু বিজেপি ও আরএসএস নেতা এই ভূমি পুজোতে আমন্ত্রিত হয়েছেন। আমন্ত্রিত হয়েছেন আধ্যাত্মিক গুরুও। ঠিক তার আগের দিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাম মন্দিরের নকশা প্রকাশ করা হল।
রামমন্দিরের নকশার একাধিক ছবি প্রকাশ করা হয়েছেন। দেখা গিয়েছে, একাধিক স্তম্ভ ও গম্বুজ সহ তিন স্তরের পরিকাঠামো গঠন করা হয়েছে। রাম মন্দিরের উচ্চতা হবে ১৬১ ফুট। আগে যা উচ্চতার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার প্রায় দ্বিগুন। মন্দিরটির আভ্যন্তরীণ সজ্জার ওপরও নজর দেওয়া হয়েছে। মন্দিরটির আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য পাথর কেটে স্থাপস্ত তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আর্কিটেক চন্দ্রকান্ত সোমপুরা রামন্দিরের নকশা করেছেন। চন্দ্রকান্ত সোমপুরারের পরিবারের পূর্বপুরুষরা আগে বহু মন্দিরের নকশা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সোমপুরার বাবা সোমনাখ মন্দিরের নকশা করেছিলেন। তাঁর নকশার ভিত্তিতেই সোমনাথের মন্দিরটির পুনরায় তৈরি করা হয়। জানা যায়, ৩০ বছর আগেই চন্দ্রকান্ত সোমপুরাকে রাম মন্দিরের নকশা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়।
অক্টোবরে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির ওপর রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যর বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায় নিজেদের বলে দাবি করেন। এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, ওই বিতর্কিত জমি হিন্দুদের থাকবে। বিনিময়ে অযোধ্যার ভালো পাঁচ একর জমি মুসলিমদের দিতে হবে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা কেন্দ্রকে নিতে হবে। এই রায়ের পর রাম মন্দিরের নকশার বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়।