অযোধ্যা: প্রায় তিন দশক পর অযোধ্যায় পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তাঁর হাতেই স্থাপিত হতে চলেছে রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর৷
গত বছর ৯ নভেম্বর, বাবরি মসজিদের ধ্বংসক্ষেত্রে মন্দির নির্মাণের ছাড়পত্র দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ সেই রায়েই সরযূর তীরে অযোধ্যা নগরীর পূণ্য ভূমিতে ৪০ কেজি ওজনের রুপোর ইট দিয়ে রামলালার মন্দিরের শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ভূমিপুজোর উদ্দেশে ২৯ বছর পর বুধবার সকালেই অযোধ্যা পৌঁছন নমো৷ তাঁর পড়নে ছিল সোনালি কুর্তা আর সাদা ধুতি৷ রুপোর প্রধান শিলা পুজো করবেন তিনি৷ সেইসঙ্গে রাম জন্মভূমি পরিদর্শন করা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদী৷ ভূমিপুজোকে কেন্দ্র করে আযোধ্যা জুড়ে সাজোসাজো রব৷
আরও পড়ুন- আজ আযোধ্যায় মেগা শিলান্যাস, বিশাল তাবু, এলসিডি স্ক্রিন, সুরক্ষা বলয়ে রাম-দুর্গ
এদিন সকালে চাপারে করে লখনউ পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী৷ হনুমান মন্দিরে পুজো করার পর রামজন্মভূমির দিকে রওনা হন তিনি৷ রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ১৯৯০ সালে সারা দেশজুড়ে প্রচারাভিযানের অন্যতম হোতা ছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ এক সময় অযোধ্যায় এই জায়গাতেই গড়ে উঠেছিল বাবরি মসজিদ৷ এই মসজিদ ধ্বংসের পর বহু বিতর্কিত এই জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ গত বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই রামমন্দির নির্মাণের জন্য গঠিত হয় একটি ট্রাস্ট৷ বিতর্কিত ২.৭ একর জমির মালিকানা দেওয়া হয়েছে মন্দির কমিটিকে। আর অযোধ্যাতেই পৃথক ৫ একর জমিতে মসজিদ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে কোর্ট।
আরও পড়ুন- রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তরের উপর ভোট রাজনীতির সমীকরণ কষছে গেরুয়া শিবির
সোমবার প্রথম এই মন্দিরের নকশা প্রকাশ করা হয়৷ এই নকশায় দেখা গিয়েছে তিন তলার এই মন্দির ১৬১ ফুট উঁচু। শুধু মন্দিরটি তৈরিতে খরচ পড়বে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা, রাম-লক্ষ্মণ-সীতার মূর্তির খরচ আলাদা এদিন ভুমিপুজোতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাষ্ট্রীয় স্ময়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভগবত৷ ১৯৯০ সালে রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন লৌহ পুরুষ লালকৃষ্ণ আডবানি৷ তবে আজ রামলালার মন্দিরের ভূমিপুজোয় উপস্থিত হতে পারেননি তিনি৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই যোগ দিয়েছেন অনুষ্ঠানে৷ ১৯৯০ রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে সারা দেশে রথযাত্রা করেছিলেন আদবানি৷ তাঁর এই রথযাত্রা মন্দির আন্দোলনকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিল৷ এরপর ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস করা হয় বাবরি মসজিদ৷
আরও পড়ুন- 'রাম সবার', মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন আচমকাই সুর বদলে টুইট প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর