নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাস অতিমারির জেরে গোটা পৃথিবীর অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। স্বাভাবিক ভাবেই ধাক্কা খেয়েছে ভারতের অর্থনীতিও। এমতাবস্থায়ও রেপো রেট এক রাখার সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হল।
এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন মানিটরি পলিসি কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেপো রেট না বাড়ানোর। মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়তে সাধারণত রেপো রেট বাড়ানো হলেও এক্ষেত্রে তা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে খানিকটা স্বস্তিতে দেশের ব্যাঙ্কগুলি। বর্তমানে লিকুইডিটি ক্রাইসিস বা ক্যাশ টাকার অভাব কিছুটা লাঘব করতে ১০,০০০ কোটি টাকা জোগানের বন্দোবস্ত করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই অর্থ যাবে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (নাবার্ড) এবং ন্যাশনাল হাউজিং ব্যাঙ্কের (এনএইচবি) কাছে। এছাড়াও ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে ঋণ গ্রহীতা যারা ‘স্ট্যান্ডার্ড’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে, তাদের বলা হয়েছে ঋণ পুনর্বিন্যাস করতে।
আরও পড়ুন: করোনার কোপে চাকরি গেল ওলা-উবেরের ৪,৪০০ কর্মীর
অতিমারির জেরে ঋণগ্রহীতাদের অবস্থা আরও দুর্বিষহ। তাতে কিছুটা উপশম দিতেই সোনা এবং গয়নার বিনিময়ে ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ৩২ মে পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা হয়েছে তা। এই সমস্ত সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের শিথিলতায় বাড়ছে সংক্রমণের ভয়! কোন পথে এগোচ্ছে ভারত?
জুন মাসে অর্থনীতির সামান্য উন্নতির লক্ষণ দেখা গেলেও অচিরেই তা অবনতিতে পর্যবসিত হয়েছে। করোনার প্রকোপের আগেই গাড়ি, হোসিয়ারি এবং আরও বিভিন্ন শিল্পে অভূতপূর্ব মন্দার পরিস্থিতি হয়েছিল। গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো হাজির হয়েছে কোভিড-১৯ অতিমারি। এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যতটা অবস্থা ফেরাতে পারে ততটাই চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।