নয়াদিল্লি: ৫ আগস্ট ধুমধাম করে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজো সম্পন্ন হল। এবার লক্ষ্য সারা দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়ন। এক দেশ এক আইন নিয়ে বিজেপি সরকার প্রথম থেকেই বদ্ধপরিকর। সেখানে মুসলিম শরিয়ত আইন বা খ্রিস্টানদের জন্য পৃথক আইন বাতিল করে সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি আইন কার্যকরী করার কথা অনেক দিন থেকেই বলে আসছে বিজেপি সরকার। জনসঙ্ঘও চেয়েছিল এই আইন কার্যকর করতে। ১৯৯৮ সালের ইস্তাহারে এই দাবি রেখেছিল বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন: এবার আদালত থেকে উধাও বিজয় মালিয়া মামলার নথি! ভেস্তে গেল শুনানি
ইতিমধ্যেই তিন তালাক বাতিল এর পাশাপাশি জম্বু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার বিলোপ ঘটিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘদিন আইনি মামলার সমাধান পেয়েছে রাম মন্দিরের ঘটনায়। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি করতে ঐকমত্য গড়ে তুলতে পারে একমাত্র বিজেপি সরকার, এখানে বাধাদান করতে করতে পারে না শীর্ষ আদালতও। সংসদে এই বিধির আইন পাশ করতে হবে বিজেপিকেই। বৃহস্পতিবার এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, সঙ্ঘের কথায় এই বিধি কার্যকর করতে শীর্ষ নেতৃত্ব ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: রাজপথে নির্দ্বিধায় হেঁটে চলেছে কুমির, লকডাউনের পরও রাস্তায় বন্যপ্রাণ
আইনে মহিলাদের অধিকারের দিকটি সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী বিজেপি সরকার। তার সঙ্গে শিশু দত্তক নেওয়ার অধিকার এবং সমান অভিভাবকত্বের দিকটিও সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এর সঙ্গেই বিবাহ নিবন্ধীকরণ বাধ্যতামূলক করা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক ধারাগুলিকে বাদ দেওয়ার কথাও ভেবেছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে গত জানুয়ারিতে মন্তব্য করেছিলেন, ভারতের বাইরে অন্য কোনও দেশেই ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা আইনের প্রচলন নেই। এক্ষেত্রে ভারতে ধর্মভেদে কেন আলাদা আইন থাকবে, বিজেপির আপত্তি সেখানেই।
আরও পড়ুন: কীভাবে মিলবে সিভিল সার্ভিসে সাফল্য? দশম হয়ে জানালেন সঞ্জিতা
জনসঙ্ঘ ও বিজেপি সরকার উভয়েই তিন তালাক আইনকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রধান মুখবন্ধ হিসাবেই উল্লেখ করেছে। এদিকে, ভারতে মুসলিম ল বোর্ড আগেই জানিয়ে দিয়েছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করলে ভারতের বৈচিত্র ক্ষুণ্ণ হবে। গত বছর রাজ্যসভায় এই নিয়ে একটি প্রাইভেট মেম্বার বিল পেশ করার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ কিরোরিলাল মিনা। বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ রাকেশ সিনহা জানিয়েছেন, ইউসিসি-কে বিরোধীদের অনেকেই কোনও একটি ধর্মের বিরুদ্ধে বলে প্রচার করছে। তাঁর মতে, ইউসিসিই একমাত্র লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে আধুনিকতম বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এটি কার্যকর করা নিয়ে আইন মন্ত্রকও চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রাকেশ সিনহা। এটি কার্যকর হলে মহিলারাই শুধু নন, দেশও উপকৃত হবে, মত দলের একাংশের।