রিয়ার আবেদন শোনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে দরবার কেন্দ্রের

রিয়ার আবেদন শোনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে দরবার কেন্দ্রের

4a893a79302b88190a33099ecf4be150

 

নয়াদিল্লি: সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিহারে মামলা দায়ের করেছেন অভিনেতার বাবা কেকে সিং৷ এই মামলার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রিয়া৷ সেই মামলার শুনানি চেয়ে শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হল কেন্দ্র৷ মহারাষ্ট্র ও বিহারের তদন্তকারী অফিসারদের দড়ি টানাটানির মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, নিরপেক্ষ ন্যায় প্রদানের স্বার্থে এই মামলার শুনানি হওয়া উচিত৷ 

আরও পড়ুন- কীভাবে মিলবে সিভিল সার্ভিসে সাফল্য? দশম হয়ে জানালেন সঞ্জিতা

a5f793dae430363da19527cc237e1c63

 

ত ১৪ জুন মুম্বইয়ে আত্মহত্যা করেন সুশান্ত সিং রাজপুত৷ সুশান্তের মৃত্যুর জন্য রিয়ার দিকে আভিযোগের আঙুল তুলছে সুশান্তের পরিবার৷ রিয়ার বিরুদ্ধে বিহারে মামলা রুজু করেছেন সুশান্তের বাবা৷ অভিযোগ, সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী। তাছাড়া সুশান্তকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন তিনি৷ সুশান্তের মৃত্যুর পর মুম্বই পুলিশ এই মামলার তদন্ত ভার নেয়৷ তবে কেকে সিং বিহারে মামলা দায়ের করার পর নতুন করে মামলায় তদন্ত শুরু করে বিহার পুলিশ৷

এই মামলায় মুম্বই পুলিশ রিয়াকে মদত করছে বলে অভিযোগ করেছে বিহার সরকার৷ এই মামলাটি পরে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ কিন্তু বিহার সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায় সিবিআই-এর হাতে মামলা হস্তান্তর করা হলেও, বিহার পুলিশ এই মামলায় তদন্ত করতে পারে৷ কারণ সুশান্তের বাবা কেকে সিং পাটনার বাসিন্দা৷   

আরও পড়ুন- নগ্ন শরীরে সন্তানকে দিয়ে ছবি আঁকিয়ে মামলা, রেহানার সুপ্রিম আর্জি খারিজ

এদিকে চাপে পড়ে এদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটের (ইডি) কার্যালয়ে উপস্থিত হন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। হাজিরার জন্য অভিনেত্রী সময় চেয়েছিলেন৷ কিন্তু শুক্রবার সকালেই রিয়া চক্রবর্তীর আবেদন নাকচ করে দেয় ইডি। সুশান্তের বাবা কেকে সিং-এর অভিযোগ, তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা সরানো হয়েছে৷ এর পরেই  স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আর্থিক দুর্নীতির মামলা করে ইডি৷ সোমবার তাঁরা সুশান্তের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সন্দীপ শ্রীধরের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। এই মুহূর্তে তিনটি সংস্থা সুশান্তের মৃত্যর তদন্ত করছে৷ মুম্বই পুলিশ, সিবিআই এবং ইডি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *