তিরুবনন্তপুরম: উদ্ধার করা হল কেরলের কোঝিকোড় বিমানবন্দরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়া এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ব্ল্যাক বক্স৷ শুক্রবার রাতে এই ব্ল্যাকবক্সটি উদ্ধার করা হয়েছে৷ ব্ল্যাক বক্সের সূত্র ধরেই জানা যাবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ৷ জানা যাবে অবতরণের ঠিক আগে কী বলেছিলেন অভিশপ্ত বিমানের পাইলট ও সহযোগী পাইলট? তাঁরা কি বিপদের আঁচ পেয়েছিলেন? এ সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ব্ল্যাক বক্সেই৷
আরও পড়ুন – BREAKING: ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, কেরলে বহু মৃত্যুর আশঙ্কা! দু’টুকরো বিমান!
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (আইএক্স-১৩৪৪)-এ মোট ১৯০ জন সওয়ার ছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে ১৭৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী, ১০ জন শিশু, ২ জন পাইলট এবং ৪ জন কেবিন ক্রু৷ বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ৭টা ৪১ মিনিট নাগাদ কোঝিকোড়ে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুবাই থেকে ভারতে আসে এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানটি৷ করোনা অতিমারির জেরে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরানোর ‘বন্দে ভারত’ অভিযানের অন্তর্ভুক্ত ছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের উড়ান আইএক্স-১৩৪৪। দুর্ঘটনায় দুই পাইলট সহ মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের৷
আরও পড়ুন- রিয়ার আবেদন শোনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে দরবার কেন্দ্রের
এই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে সাহায্য করবে উদ্ধার হওয়ার ব্ল্যাক বক্স৷ এই ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে থাকে দুটি রেকর্ডার৷ একটি ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (ডিএফডিআর) এবং অপরটি হল ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। বিমানটি কোন উচ্চতায় ছিল, তার অবস্থান কোথায় ছিল এবং বিমানের গতি কী ছিল সেই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ থাকে ব্ল্যাক বক্সে৷ এছাড়াও সিভিআর-এ বিমান চালকদের মধ্যে হওয়া সমস্ত কথোপকথনের রেকর্ড থাকে৷ ফলে উদ্ধার হওয়া এই ব্ল্যাকবক্স অনেক প্রশ্নের উত্তর দেবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷
আরও পড়ুন- একাধিক শূন্যপদ বিলোপ করে কর্মী নিয়োগে ‘না’ ভারতীয় রেলের
ডিজিসিএ-র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণের সময় কিছু সমস্যা হয়েছিল৷ প্রথমে ঠিক ছিল ২৮ নম্বর রানওয়েতে অবতরণ করবে এটি৷ কিন্তু সমস্যা হওয়ায় ১০ নম্বর রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করেন পাইলট৷ অবতরণের সময় পূর্ণ গতিতেই ছিল বিমানটি৷ অবতরণের সময় সেটি রানওয়ে থেকে পিছলে গিয়ে ৩৫ ফুট গভীর খাতে গিয়ে পড়ে৷ সব রকম সম্ভাবনা থাকলেও সৌভাগ্যবশত বিমানটিতে আগুন ধরেনি৷ যার জেরে অনেককেই বাঁচানো সম্ভব হয়েছে৷